পাবনায় বালুবোঝাই ট্রলির চাপায় পুলিশ কনস্টেবল নিহত
পাবনা সদর উপজেলার শ্রীপুরে বালুবোঝাই ট্রলির চাপায় মাসুদ রানা (২৪) নামের এক পুলিশ কনস্টেবল নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরেক কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান (৩৬)। ঘটনার পরপরই অভিযুক্ত ট্রলি চালক ও তার সহযোগী আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে এলাকাবাসী।
আজ বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে পাবনার সদর উপজেলার ভাড়ারা ইউনিয়নের শ্রীপুর বাজারের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী শাহনেওয়াজ।
জানা যায়, নিহত মাসুদ রানা সুজানগর উপজেলার কামালপুর পুলিশ ফাঁড়িতে কর্মরত ছিলেন। তার কনস্টেবল নং ১৬৭৩। তিনি নওগাঁ সদর উপজেলার উলিপুর গ্রামের মো. শহিদুল ইসলামের ছেলে। আহত কনস্টেবল মোস্তাফিজুর রহমান একই ফাঁড়িতে কর্মরত। তার কনস্টেবল নং ১৫৭৮। তিনি সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার শ্রীফলতলা গ্রামের মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে।
আটককৃতর হলেন, ট্রলি চালক পাবনা সদর উপজেলার চর বলরামপুর গ্রামের মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে কাওছার প্রামানিক (২০) ও তার সহযোগী একই গ্রামের মো. কালু বিশ্বাসের ছেলে আহাদ বিশ্বাস (১৬)।
স্থানীয় বাসিন্দা আহসান হাবিব আকাশ ও সুমন হোসেন জানান, ট্রলিটি ভাড়ারা থেকে বালু নিয়ে ওই এলাকায় নামিয়ে আবার বালু মহালে যাওয়ার পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। সরকার পতনের পর এলাকায় বালু উত্তোলন বন্ধ ছিল কিন্তু সম্প্রতি আবারও বালু উত্তোলন শুরু হওয়ায় রাস্তা-ঘাটে বালুবহনকারী যানবাহন ব্যাপক আকারে বেড়েছে। বালুবহনকারী গাড়িগুলেো বেপরোয়াভাবে চলাচল করছে।
পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কাজী শাহনেওয়াজ বলেন, পাবনা পুলিশ লাইনস’রর কাজ শেষে আজ দুপুরে মোটরসাইকেলে করে কনস্টেবল মাসুদ রানা ও মোস্তাফিজুর রহমান সুজানগরের কামালপুর পুলিশ ফাঁড়িতে যাচ্ছিলেন। এ সময় শ্রীপুরে পৌঁছালে পাশের রাস্তা থেকে বালুবোঝাই ট্রলিটি গিয়ে সরাসরি তাদের মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দিলে ঘটনাস্থলেই মাসুদ রানা মারা যায়। আহত মোস্তাফিজুর রহমানকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
তিনি আরও বলেন, ঘটনাস্থলে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ট্রলিচালক ও তার সহযোগীকে আটক করে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার ও অভিযুক্ত দুইজনকে আটক করে সদর থানায় নিয়ে আসে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি শেষে এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।