শেখ হাসিনাকে পলাতক দেখিয়ে বিচার করতে বাধা নেই: ক্যাডম্যান
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:০৩ AM , আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ AM
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পলাতক দেখিয়ে বিচার করতে কোনো বাধা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ টবি ক্যাডম্যান।
আজ বুধবার (১১ ডিসেম্বর) সকালে প্রসিকিউশন টিমের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটরের বিশেষ পরামর্শক ক্যাডম্যান।
এ সময় শেখ হাসিনাকে বাংলাদেশে ফেরত দিতে ভারতের প্রতিও আহ্বান জানান আন্তর্জাতিক এই অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ।
টবি ক্যাডম্যান বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের যেসব আইন সংশোধিত হয়েছে, তা সঠিক হয়েছে। আইনের আরও সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। সে ব্যাপারে আমরা সম্মিলিতভাবে আরও কিছু বিষয়ে প্রস্তাবনা দেব। ভারত যেহেতু একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। আশা করি তারা বাংলাদেশের রুল অব লর প্রতি শ্রদ্ধা দেখাবে। বাংলাদেশ থেকে যদি শেখ হাসিনাকে আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত চাওয়া হয় সেটার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত পাঠাবে।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তারে ইন্টারপোলের রেড নোটিশ জারি করতে চিঠি
আন্তর্জাতিক এই আইন বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘শেখ হাসিনার বিচারের ব্যাপারে বাংলাদেশে যে আইন আছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের আইন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে ফরমাল চার্জ গঠন শেষে রিকোয়েস্টের পর যদি ফেরত না পাঠানো হয়, তাহলে শেখ হাসিনার অনুপস্থিতিতে তার বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার বিবেচনা করবে। যদি প্রয়োজন হয় সে ব্যাপারে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের সহযোগিতা নেওয়া যায় কি না, তা বাংলাদেশ সরকার ঠিক করবে।’
বিশ্বের বিভিন্ন দেশ মৃত্যুদণ্ড থাকলে আসামিকে ফেরত দিতে চায় না– এ বিষয়ে টবি ক্যাডম্যান বলেন, বাংলাদেশের বাস্তবতাটা আলাদা, এ বিষয়টা ওই সব দেশকে বুঝতে হবে। আদালত ঠিক করবেন মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হবে কি হবে না।
এদিন সকালে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চিফ প্রসিকিউটর ও তদন্ত সংস্থার কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন টবি ক্যাডম্যান।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার বক্তব্যের ভিডিওর সত্যতা জানা গেল
এর আগে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলামের বিশেষ পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় লন্ডনভিত্তিক গার্নিকা ৩৭ ল ফার্মের যুগ্ম প্রধান টবি ক্যাডম্যানকে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বাংলাদেশে এসেছিলেন টবি ক্যাডম্যান। গত ২ সেপ্টেম্বর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন তিনি। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় ওই সাক্ষাৎ হয়েছিল।