০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০:৩২

ঢাবি শিক্ষার্থীকে হুমকি বিষয়ক খবরের প্রতিবাদ বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতার

ঢাবি ও ছাত্রদলের লোগো।  © সম্পাদিত

গত ৩০ নভেম্বর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসে ‘‘তোর প্যান্ট খুলে ফেলবো’—ঢাবি শিক্ষার্থীকে হুমকি ছাত্রদল নেতার’’ এমন একটি সংবাদ প্রচার করা হয়েছে। এ সংক্রান্ত খবরের প্রতিবাদ জানিয়েছেন অভিযোগ ওঠা বরিশাল জেলা ছাত্রদলের সদ্য সাবেক (বহিষ্কৃত) যুগ্ম সম্পাদক এবং এভেরোজ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, লালমাটিয়ার সিনিয়র লজিস্টিক ম্যানেজার সোহেল শাহরিয়ার। সোমবার (০২ ডিসেম্বর) লিখিত একটি চিঠিতে এ প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

প্রতিবাদলিপিতে জানানো হয়েছে, ‘সংবাদে প্রকাশিত বিষয়গুলো ভিত্তিহীন, মানহানিকর এবং বিভ্রান্তিকর। এটি আমার রাজনৈতিক ভাবমূর্তি নষ্ট করার উদ্দেশ্যে প্রকাশিত হয়েছে।’ 

‘সংবাদটিতে আমাকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থীকে হুমকি দেওয়া এবং এস. এম. রাকিবুজ্জামান নামক একজন ব্যক্তিকে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে—যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। এই অভিযোগের পেছনে কোনো প্রমাণ বা সত্যতা নেই। অডিও ক্লিপের ভিত্তিতে অভিযোগ তোলা হয়েছে—যা যাচাই করা হয়নি এবং সঠিক নয়’—উল্লেখ করা হয়েছে একই চিঠিতে।

প্রকাশিত সংবাদটি পড়ুন: ‘তোর প্যান্ট খুলে ফেলবো’—ঢাবি শিক্ষার্থীকে হুমকি ছাত্রদল নেতার

প্রতিবাদলিপিতে প্রকাশিত প্রতিবেদনে উল্লেখিত সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে জানানো হয়েছে, ‘আমি কখনো কারো প্রতি হুমকি বা অশোভন আচরণ করিনি। আমি প্রতিবেদনে উল্লেখিত অডিও ক্লিপ ও অন্যান্য তথ্যের সত্যতা যাচাই করার জন্য আমার প্রাণের সংগঠনকে অনুরোধ করছি এবং  প্রকাশনাকে চ্যালেঞ্জ করছি। আমি বিশ্বাস করি, এগুলো মিথ্যা বা বিকৃত তথ্য। আমি অবিলম্বে এই মিথ্যা ও মানহানিকর সংবাদ প্রত্যাহারের দাবি জানাচ্ছি এবং এই ভুল তথ্য সংশোধন করে একটি সঠিক প্রতিবেদন প্রকাশ করার জন্য জোর অনুরোধ করছি। আমার প্রানপ্রিয় সংগঠন ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের এই অসত্য তথ্যে বিভ্রান্ত নাহওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করছি।’

দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসের বক্তব্য: প্রকাশিত সংবাদে উদ্ধৃত সবগুলো কল ‘রেকর্ড’ এবং বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে জমা দেওয়া অভিযোগপত্রের প্রেক্ষিতে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি জিডির কপিগুলো থেকেও বিস্তারিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। এছাড়াও সোহেল শাহরিয়ারের সাথে যোগাযোগের জন্য কয়েকটি কন্টাক্ট নাম্বার থেকে চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রতিবারই তিনি কল কেটে দিয়েছেন। একই সাথে তাঁকে ক্ষুদে বার্তা পাঠানো হলেও তার কোনো জবাব পাওয়া যায়নি তার পক্ষ থেকে। এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশের ফলে কারও ভাবমূর্তি নষ্ট করা হয়েছে বলে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাস মনে করছে না।