শাহবাগের সমাবেশে গিয়ে খালি হাতে ফিরেই সংগঠকের বাড়ি ঘেরাও, আটক ৫
রাজধানীর শাহবাগে সমাবেশে গেলে বিনা সুদে ঋণ পাওয়া যাবে— এমন প্রলোভন দেখিয়ে মানিকগঞ্জ থেকে বাসভর্তি মানুষ নিয়ে আসেন একটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা। তবে এ ঘটনায় প্রতারিত হয়ে মানিকগঞ্জে ফিরে ওই সংগঠনের অন্যতম প্রতিনিধি দবির হোসেনের বাড়ি ঘেরাও করা হয়।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটেছে। পরে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হওয়ায় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ সময় দবির, তার স্ত্রী চামিলী আক্তার ও হাসিনা আক্তারকে আটক করে পুলিশ।
জানা গেছে, ‘অহিংস গণ-অভ্যুত্থান বাংলাদেশ’ নামে একটি সংগঠনের প্রতিনিধিরা মানিকগঞ্জের বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে বিনা সুদে এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়ার কথা বলেন। বলা হয়, বিদেশে পাচার করা অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। ঢাকার শাহবাগে যারা যাবেন, তাদের এক লাখ টাকা করে ঋণ দেওয়া হবে।
ঋণ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে আজ ভোর ৫টার দিকে জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে লোকজন জরিনা কলেজ মোড় এলাকায় দবির হোসেনের বাড়ির সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে অন্তত ছয়টি বাসে করে শাহবাগের উদ্দেশে রওনা হন। শাহবাগে যাওয়ার পর পরিস্থিতি খারাপ দেখে ওই বাসে করেই আজ দুপুরে মানিকগঞ্জে ফিরে আসেন। এরপর দবিরের বাড়ি ঘেরাও করেন এসব লোকজন।
ভুক্তভোগীরা বলেন, দবির ও তার স্ত্রী-সহযোগীরা বলেছেন, অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূসের একটা সমাবেশ আছে ঢাকায়। ওই সমাবেশ শেষে সাধারণ মানুষকে এক লাখ থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত সুদমুক্ত ঋণ দেওয়া হবে। ঋণের কথা বলে আমাদের প্রত্যেকের কাছ থেকে ২৫০ করে টাকা নেন দবির গং। জরিনা কলেজ থেকে বেশ কয়েকটি বাসে ৪ শতাধিক নারী-পুরুষ সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওনা হই। আমরা কয়েকজন গাড়ি থেকে ঢাকার শাহবাগে নামার পর স্থানীয় লোকজন আমাদের মারধর করেন। পুলিশ আমাদের গাড়িগুলো ফিরিয়ে দেয়, আমরা মানিকগঞ্জ চলে আসি। আমরা টাকা ফেরত পাইনি। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করি।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস. এম. আমানুল্লাহ বলেন, এ ঘটনায় প্রতারক দবির ও তার স্ত্রীসহ ৪ সহযোগীকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।