‘বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন নস্যাৎ করতে অর্থ দেন শমী কায়সার’

অভিনেত্রী শমী কায়সার
অভিনেত্রী শমী কায়সার  © ফাইল ফটো

জুলাইয়ের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নস্যাৎ করতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অর্থের জোগান দিয়েছেন অভিনেত্রী শমী কায়সার। তার দেওয়া অর্থের উৎস এবং অর্থের হিসাব জানতে তার ব্যাংক হিসাব এবং লেনদেনের পরিমাণ ও তারিখ জানতে চায় পুলিশ। এ লক্ষ্যে শমী কায়সারকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৬ নভেম্বর) ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শমী কায়সারকে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তাকে সাত দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন। রিমান্ড আবেদনে এসব কথা উল্লেখ করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পূর্ব থানার এসআই মৃত্যুঞ্জয় পন্ডিত মিঠুন।

রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, আসামী শমী কায়সার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের কঠোর হস্তে দমন করার জন্য ক্ষমতাচ্যুত সরকারকারের নেতাকর্মীদের উসকানি দেন। তিনি আওয়ামী লীগের একজন সক্রিয় কর্মী। মামলার ঘটনার সঙ্গে তিনি প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। এ মামলার সঙ্গে জড়িত অজ্ঞাতপরিচয় অন্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেফতারের জন্য এবং মামলায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধারে আসামিকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন। তাহলে মামলার প্রকৃত রহস্য উদঘাটন, অজ্ঞাতপরিচয় আসামি শনাক্ত ও গ্রেফতার এবং আলামত উদ্ধার সম্ভব হবে। এসব কারণে আসামিকে পুলিশ হেফাজতে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।

রিমান্ড আবেদনে আরও বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন নস্যাৎ করতে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্নভাবে প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষভাবে অর্থের জোগান দিয়েছেন। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে তার দেওয়া অর্থের উৎস এবং অর্থের হিসাব জানার জন্য তার ব্যাংক হিসাব এবং লেনদেনের পরিমাণ ও তারিখ জানা প্রয়োজন। এ অবস্থায় শমী কায়সারকে পুলিশ হেফাজতে এনে মামলার ঘটনার গভীর ও নিবিড় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সাত দিনের পুলিশ রিমান্ড একান্ত প্রয়োজন।

এর আগে গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর উত্তরা থেকে শমী কায়সারকে গ্রেফতার করে উত্তরা পশ্চিম ও পূর্ব থানা পুলিশ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ইশতিয়াক মাহমুদ নামে এক ব্যবসায়ী গত ১৮ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন। উত্তরা ৪ নম্বর সেক্টরের আজমপুর নওয়াব হাবিবুল্লাহ হাই স্কুলের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ হামলা চালায় এবং গুলিবর্ষণ করে। এসময় ইশতিয়াকের পেটে গুলি লাগে। তিনি এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা নেন।

এ ঘটনায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর ইশতিয়াক মাহমুদ বাদী হয়ে উত্তরা পূর্ব থানায় একটি হত্যাচেষ্টা মামলা করেন। মামলায় সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনসহ ১২৬ জনকে আসামি করা হয়। শমী কায়সার এ মামলায় ২৪ নম্বর ও তাপস ৯ নম্বর এজহারনামীয় আসামি।


সর্বশেষ সংবাদ