শিক্ষকের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগ মাদ্রাসা ছাত্রীর
জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে এক মাদ্রাসার শিক্ষক এক ছাত্রীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে।উপজেলার কুয়াতপুর জিন্নাতিয়া দাখিল মাদ্রাসার কম্পিউটার শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ওই ছাত্রীর বাবা এ অভিযোগ এনে পাঁচবিবি থানায় মামলা দায়ের করেছেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বজলার রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১২ নভেম্বর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে ওই ছাত্রী নিজেই আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেন। শিক্ষার্থীর বাবার অভিযোগ- গত ৫ নভেম্বর মাদ্রাসা ছুটির পর অন্য শিক্ষার্থীদের কৌশলে বাড়ি পাঠিয়ে তার ৬ষ্ঠ শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে শিক্ষক আনোয়ার যৌন নির্যাতন করে। বিষয়টি তার মেয়ে তাদের জানিয়েছে। সেই থেকে মেয়েটি মাদ্রাসায় আর যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে অভিযোগ করা হলেও প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। পরে বুধবার তাকে থানায় ডেকে এনে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা নেওয়া হয়েছে। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন।
মাদ্রাসার সাবেক সভাপতি এনামুল হক বলেন, ‘মাদ্রাসার ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানির একাধিক অভিযোগ থাকলেও কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।’ এ পর্যন্ত অন্তত ১২ জন শিক্ষার্থী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছে বলে তিনি দাবি করেন। তবে মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মান্নান বিষয়টিকে তার প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বলে দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ‘এ ধরনের অনৈতিক ঘটনার অভিযোগ সত্য নয়।’
পাঁচবিবি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিবুল আলম বলেন, ’অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তসাপেক্ষে শিক্ষকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গত ১২ নভেম্বর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত কম্পিউটার শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।