সাবেক এমপি একরামুল দুই দিনের রিমান্ডে
নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীকে ট্রাকশ্রমিক মো.খোকন (১৭) নিহতের ঘটনায় দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (২১ অক্টোবর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১ নম্বর আমলি আদালতের বিচারক ইকবাল হোসাইন এ আদেশ দেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করেন নোয়াখালী কোর্ট ইন্সপেক্টর শাহ আলম ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সুধারাম মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক মো. সাবজেল হোসেন।
এর আগে সোমবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে একরামুলকে নোয়াখালীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট (সদর) ১ নম্বর আমলি আদালতে হাজির করে পুলিশ। এ সময় মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। ওই সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত আসামির দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, নোয়াখালীতে ২০১৩ সালে ট্রাকশ্রমিক খোকন নিহতের ঘটনায় গত ৮ সেপ্টেম্বর নোয়াখালী-৪ (সদর ও সুবর্ণচর) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীসহ আওয়ামী লীগের ৫৩ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে নিহত ট্রাকশ্রমিকের বাবা মজিবুল হক বাদী হয়ে সুধারাম মডেল থানায় এ মামলা করেন। ওই মামলায় বলা হয়েছে, ২০১৩ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনের জন্য নোয়াখালীর সদর উপজেলার দত্তেরহাটের দত্ত বাড়ির মোড়ে জমায়েত হন বিএনপি-জামায়াতের কর্মী-সমর্থকরা।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কারপন্থী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ
ট্রাকশ্রমিক খোকন সেসময় নিজ বাড়ি থেকে দত্তেরহাট শ্রমিক ইউনিয়ন অফিসে যাচ্ছিলেন। সেখানে সাবেক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শামছুদ্দিন জেহান, সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, নোয়াখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র শহীদ উল্যাহ খান সোহেলসহ আওয়ামী লীগ নেতারা বিএনপি-জামায়াতের মিছিলে অতর্কিত হামলা চালায়। সেসময় একরামুলসহ অন্যান্য আওয়ামী লীগ নেতারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুঁড়লে খোকন গুলিবিদ্ধ হয় বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এতে আরও বলা হয়, খোকনকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।