হামলা-লুটপাটের মামলায় ‘বিএনপি নেতা’ কিং আলী গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী টোল রোডে একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে কিং আলী নামে পরিচিত এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (১৮ অক্টোবর) আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) রাতে নগরের পাহাড়তলী থানার দক্ষিণ কাট্টলী এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মামুন আলী ওরফে কিং আলী নগরের হালিশহর থানার গলাচিপা পাড়ার হাজী আশরাফ আলীর ছেলে। কিং আলী নিজেকে বিএনপি নেতা দাবি করলেও তিনি বিএনপির কোনো পদ পদবিতে নেই বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি।
এদিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় পাহাড়তলী থানায় মামলা দায়ের করেছেন ওই প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক আরিফ মঈনুদ্দীন। মামলায় মামুন আলী ওরফে কিং আলী ও তার ভাই মো. লোকমান আলীর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, নোয়াখালীর সাবেক সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর ছেলে আতাহার ইশরাক শাবাব চৌধুরীর থেকে ২০২১ সালে চুক্তিতে জমি নিয়ে অফিস তৈরি করে এন মোহাম্মদ ট্রেডিং। প্রতিষ্ঠানটি বিভিন্ন প্রকল্পে পাথর সরবরাহের কাজ করে। গত ১৬ অক্টোবর বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে কিং আলীর ভাই লোকমান আলী প্রতিষ্ঠাটিতে গিয়ে উচ্ছেদ এবং মালামাল লুটের হুমকি দেয়। পরদিন দুপুর ১২টার দিকে কিং আলীর নেতৃত্বে অন্তত ২০০ জন ব্যক্তি দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র ও লাঠিসোঁটা নিয়ে প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। প্রতিষ্ঠানটির ৩০ লাখ টাকা ছিনতাই ও আরও ১ কোটি টাকা চাঁদা দাবি করে বলে অভিযোগ করা হয়। এছাড়া প্রতিষ্ঠানটির ১ কোটি ৪০ লাখ টাকার মালামাল লুটের অভিযোগ করা হয়।
আরও পড়ুন: ৪৩তম বিসিএসের নিয়োগ বাতিল চায় বিএনপি, তিনটির নতুন পরীক্ষা দাবি
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) কাজী মোহাম্মদ তারেক আজিজ গণমাধ্যমকে বলেন, এন মোহাম্মদ ট্রেডিং নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা ও লুটপাটের অভিযোগে দুইজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার সত্যতা পেয়ে অভিযান চালিয়ে মামুন আলীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে শুক্রবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানো আদেশ দেন।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান বলেন, মামুন আলী প্রকাশ কিং আলী বিএনপির নগর ও হালিশহর থানার কোনও পদে নেই। আমাদের কমিটি হওয়ার পর কোনও কর্মসূচিতেও তিনি আসেননি।