১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩২

চট্টগ্রামে পর্দা করায় শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগ

পটিয়া সরকারি কলেজ  © সংগৃহীত

চট্টগ্রামের পটিয়া সরকারি কলেজে শিক্ষার্থীদের পর্দা করায় হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে একি প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক সহযোগী অধ্যাপক রিয়াজ আহমেদ ও অফিস সহায়ক কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক উত্তম কুমার দাসের বিরুদ্ধে। ভুক্তভোগী ১৭ জন  নারী শিক্ষার্থী দুজনের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। 

কলেজ সূত্রে জানা যায়, ১৭ জন শিক্ষার্থী গত ৮ সেপ্টেম্বর অফিস সহায়ক উত্তম কুমার দাস ও প্রাণিবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক রিয়াজ আহমেদের বিরুদ্ধে অধ্যক্ষ বরাবর লিখিত জানায়। 

অভিযোগে বলা হয়, অফিস সহায়ক উত্তম কুমার ও রিয়াজ আহমেদ শিক্ষার্থীদের বিভিন্নভাবে যৌন হেনস্তা করতেন। একাধিক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন ধরে পর্দা নিয়ে কটুক্তি, গাঁ ঘেঁষে বসা, কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করতেন। ছাত্রীদের ক্লাসে মাস্ক ছিঁড়ে ফেলার ঘটনাসহ তিনি বিভিন্ন অনৈতিক প্রস্তাব দিতেন। অনেক শিক্ষার্থীর তাদের হেনস্তার শিকার হয়েছেন, অনেকের বিয়ে হয়ে গেছে। 

ভুক্তভোগেী আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমি যখন এইচএসসির ডকুমেন্ট তুলতে অফিসে গেলে উত্তম কুমার আমার সাথে বাজে ব্যবহার করেন। পর্দা করায় তিনি কটাক্ষ করে, আমি ছাড়াও অসংখ্য শিক্ষার্থীর সাথে খারাপ ব্যবহার করেন।

গত কয়েক দিন ধরে এ নিয়ে কলেজে ছাত্র-ছাত্রীদের পক্ষ থেকে তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। গত ৮ সেপ্টেম্বর এর প্রতিবাদে পটিয়া সরকারি কলেজের গেটে মানববন্ধন করেন শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধনে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসি অতি দ্রুত তাদের সব ধরনের শিক্ষা কার্যক্রম থেকে বরখাস্তের দাবি করেন। এসময় অভিযুক্ত শিক্ষক ও অফিস সহকারীর অপসারণ ও শাস্তির দাবি জানিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।

আরও পড়ুন: ‘প্রতিমা ভাঙচুরকারী ভারতীয় নাগরিক’ বিজ্ঞপ্তির পর ভোল পাল্টাল পুলিশ

অভিযোগ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত রিয়াজ আহমেদ ও উত্তম কুমারের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও ফোন ধরেননি।

কলেজ ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ অধ্যাপক ইলিয়াছ উদ্দিন আহাম্মদ বলেন, এ নিয়ে গত ১ সেপ্টেম্বর অভিযোগ করলে আমি হাইকোর্টের নির্দেশনামতে ডিজি স্যারের অনুমতিতে তদন্ত কমিটি গঠন করি। তদন্তের জন্য সাত কর্মদিবস সময় দেওয়া হয়। অভিযুক্ত অফিস সহকারী ও শিক্ষককে কলেজে না আসার নির্দেশনা দেওয়া হয়। শিক্ষার্থীরা ৮ সেপ্টেম্বর পুনরায় মানববন্ধন ও অভিযোগ দাখিল করলে তদন্ত কমিটি আমার কাছে আরও সাত কর্মদিবস সময় চায়। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।