ঢাবির ভর্তি পরীক্ষা-নিয়োগের প্রশ্নফাঁসে জড়িত ১০ জনের কারাদণ্ড
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও চাকরির নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় ১০ জনের বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। ২০১৭ সালে শাহবাগ থানার করা মামলায় তাদের এ সাজা দেন আদালত।
সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে সাতজনের চার বছর এবং তিনজনের দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। মামলা আরও ১১৪ জনকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় বেকসুর খালাস দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট হাসিবুল হকের আদালত এ রায় দেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রশ্নফাসঁ ধামাচাপা দিতে তদন্তে সহযোগিতা করছে না পিএসসি: সিআইডি
জানা যায়, ২০১৭ সালের ২০ অক্টোবর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলে অভিযান চালায় সিআইডি। এতে মামুন ও রানা নামে দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করে তারা। গ্রেপ্তাকৃতদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পরদিন পরীক্ষার হলে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার হয় রাফি নামে ভর্তিচ্ছু এক শিক্ষার্থীকে।
২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা ও ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ) ধারায় শাহবাগ থানায় মামলা করেন সিআইডি। ২০১৯ সালের তদন্ত কর্মকর্তা সিআইডির সিনিয়র এএসপি সুমন কুমার দাস আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
চার্জশিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনকে অভিযুক্ত করা হয়। পরে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারায় সব আসামিকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দেন। এরপর ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯(খ) ধারায় ১২৪ জনের বিচার শুরু করেন।