১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৪:২২

চলন্তবাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গার্মেন্টস কর্মী

অভিযুক্ত ড্রাইভার ও হেলাপার  © টিডিসি ফটো

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার একটি চলন্ত বাসে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন গার্মেন্টস কর্মী জাফরিন সুলতানা জিসা (১৯)। ধর্ষণের শিকার হওয়া নারীর স্বামী হিমেল(১৯) বাদী হয়ে কর্ণফুলী থানায় অভিযুক্ত বাস ড্রাইভার ও হেলপারকে আসামী করে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। অভিযুক্ত ড্রাইভার হেলপারকে আটক করেছেন কর্ণফুলী থানা পুলিশ ।

মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৬ সেপ্টেম্বর রাত আনুমানিক সাড়ে ৯ টায় ভুক্তভোগী নারী পটিয়ার মনসা বাদামতল এলাকা থেকে মিনিবাসে উঠে চট্টগ্রাম শহরের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হন। বাসের অন্যান্য যাত্রীরা মইজ্জ্যারটেক মোড়ে নেমে গেলে সেই নারী বাসে একা হয়ে যান।

পরবর্তী বাসটি আনুমানিক রা ৯ টা ৫০ মিনিটে শাহ আমানত সেতুর টোলপ্লাজা পার হতেই তাকে একা পেয়ে হেলপার মিজান চলন্ত গাড়িতে ধর্ষণ করেন। বাসটি নতুন ব্রিজের চত্বর ঘুরে আবারও সেতু পার হয়ে পটিয়ার দিকে রওনা হলে ড্রাইভারও নারীকে ধর্ষণ করেন। পরে বাসটি বিভিন্ন জায়গা ঘুরে ১১.৫০ মিনিটে পটিয়া শান্তিরহাট বাজারে এসে গার্মেন্টস কর্মীকে ফেলে পালিয়ে যান।

আরও পড়ুন: ত্বকী হত্যাকাণ্ড: আজমেরী ওসমানের গাড়িচালক গ্রেপ্তার

অভিযুক্তরা হলেন,আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের রাজা তালুকতার বাড়ির মো. ছৈয়দুল হকের ছেলে সাহেদুল ইসলাম মিজান - হেলপার (১৯) ও পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ভেল্লাপাড়া গ্রামের জামাল মেম্বার বাড়ির মৃত হাশেম খানের ছেলে ড্রাইভার মো. আজাদ খান প্রকাশ রানা (২০)।

বাসটির ড্রাইভার-হেলপার সংঘবদ্ধভাবে নারীকে ধর্ষণ করার অপরাধে থানায় মামলা হলে ঘটনায় অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেছে কর্ণফুলী থানা পুলিশ। ৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় নগরীর বাকলিয়া থানার নতুন ব্রিজ বাসস্ট্যান্ড থেকে করা হয়ে তাদের।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কর্ণফুলী থানার ওসি তদন্ত মেহেদী হাসান ১১ সেপ্টেম্বর দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘ধর্ষণের ঘটনায় দুই আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’