ব্যাংকের ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ টাকা নিয়ে উধাও
চাঁদপুর জেলার মতলব উত্তর উপজেলায় অগ্রণী ব্যাংক ছেংগারচর বাজার শাখার ভল্ট থেকে ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা নিয়ে উধাও হওয়ার অভিযোগ উঠেছে ক্যাশিয়ার দীপংকর ঘোষের (৩৮) বিরুদ্ধে। ব্যাংকের টাকা অবৈধভাবে নেওয়ায় শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় মামলা মামলা দায়ের করেছেন।
দীপংকর ঘোষ মতলব উত্তর উপজেলায় অগ্রণী ব্যাংকে ক্যাশিয়ার পদে কর্মরত ছিলেন ছেংগারচর শাখায় । অভিযুক্ত ক্যাশিয়ার মানিকগঞ্জের সাটুরিয়া উপজেলার বালিয়াটি গ্রামের বলাই ঘোষের ছেলে। ২৯ আগস্ট বৃহস্পতিবার দীপংকর ঘোষ কর্মস্থলে না আসায় তার মোবাইল ফোনে ব্যাংকের ব্যবস্থাপক অফিসে না আসার কারণ জানতে চাইলে তিনি ব্যবস্থাপককে বলেন, আমার ‘বাবা অসুস্থ, আসতে দেরি হবে।’ এসব তথ্য মামলা সূত্রে জানা যায়।
দীপংকর ঘোষের মোবাইল ফোনে দীর্ঘক্ষণ যোগাযোগের চেষ্টা করলে মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। তার প্রকৃত অবস্থান জানার জন্য সহধর্মিনী আঁখি সাহার মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি জানান, ‘আমার স্বামী দুপুর ১২টার সময় অফিসের উদ্দেশে ঢাকার বাসা ত্যাগ করেছেন।’
অফিস সময় পেরিয়ে গেলেও দীপংকর ব্যাংকে না যাওয়ায় ব্যাংকের ভল্ট খোলা সম্ভব হয়নি। দীপংকর ঘোষের এমন অস্বাভাবিক কার্যকলাপে সন্দেহ হলে, ব্যাংকের স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনা এবং ব্যাংকের ভল্টে থাকা নগদ টাকার পরিমাণ যথাযথ আছে কিনা, তা যাচাইয়ের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের পরামর্শে ৩০ আগস্ট মতলব উত্তর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
১ সেপ্টেম্বর জিডির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ও থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মিস্ত্রি দিয়ে ভল্ট খোলা হয়। পরে গণনা করে ভল্টে ২৭ লাখ ৭৯ হাজার ৬৮ টাকা ৭১ পয়সা পাওয়া যায়। তবে ক্যাশে ১ কোটি ২ লাখ ৯৯ হাজার ৬৮ টাকা ৭১ পয়সা ছিল। অর্থাৎ গণনার সময় ৭৫ লাখ ২০ হাজার টাকা কম পাওয়া গেছে।
এ বিষয়ে অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি লিমিটেড ছেংগারচর বাজার শাখা ব্যবস্থাপক মো. ইউসুফ মিয়া বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি বাদী হয়ে মতলব উত্তর থানায় একটি মামলা করেছি। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এসে অডিট করে গেছেন। থানার পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে।’
মতলব উত্তর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. ছানোয়ার হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, ব্যাংকের ক্যাশিয়ার দীপংকর ঘোষ ও অজ্ঞাতনামাদের আসামি করে থানায় একটি মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত চলছে।