লুট করা অস্ত্র দিয়ে রাজধানীর জেনেভা ক্যাম্পে গোলাগুলি
লুট করা অস্ত্র দিয়ে প্রতিদিনই গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পে। আধিপত্য বিস্তার আর মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বই গোলাগুলির মূল কারণ। গোলাগুলির ঘটনায় গত এক মাসে প্রাণহানি হয়েছে দুই জনের। আর আহত হয়েছে শতাধিক। ক্যাম্পের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দ্রুত ব্যবস্থার আহ্বান স্থানীয়দের।
মোহাম্মদপুরের জেনেভা ক্যাম্পের বাসিন্দা মোহাম্মদ মিন্টু গণমাধ্যমকে জানায়, ২৯ আগস্ট মাদক নিয়ে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ছররা গুলি লাগে তাঁর গায়ে।‘সংঘর্ষের সময় আমার গায়ে গুলি লেগেছে। আমি মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি।’
অবৈধ মাদক ব্যবসার প্রসার নিয়ে অভ্যূথানে থানা থেকে লুট হওয়া অস্ত্র দিয়ে চলছে গোলাগুলি । আগস্টের ৬ তারিখে গোলাগুলিতে নিহত হন ক্যাম্পের বাসিন্দা শাহেন শাহ। আর চলতি মাসের ৪ তারিখে মারা যান অটোরিকশাচালক মোহাম্মদ সনু। মোহাম্মদ সনুর স্ত্রী গণমাধ্যমকে জানান, নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে তাঁর স্বামীকে।
আরও পড়ুনঃ
দুশ্চিন্তা এখন পিস্তল নিয়ে উদ্ধার হয়নি ২ হাজারের বেশি অস্ত্র, বেশি দুশ্চিন্তা পিস্তল নিয়ে। গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের দিন, শুধু মোহাম্মদপুর থানা থেকেই লুট হয় সাত শতাধিক ছোট-বড় অস্ত্র। অল্প কিছু রাইফেল উদ্ধার হলেও পিস্তলসহ অনেক অস্ত্রেরই হদিস নেই। এ ছাড়া অভিযোগ রয়েছে, আগস্টের শুরুতে ছাত্র আন্দোলন দমনে স্থানীয় কাউন্সিলর সৈয়দ হাসানুর ইসলাম রাস্টন ক্যাম্পের মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে তুলে দেন অস্ত্র।
স্থানীয়রা বলছে, ৪ তারিখে লুট করা অস্ত্র ৫ তারিখে ব্যবহার করে অনেকেই। এরপর এই অস্ত্রগুলো ক্যাম্পের লোকেদের হাতে চলে আসে। এখন যে যার স্বার্থ সিদ্ধির জন্য সেই অস্ত্র ব্যবহার করছে।
মাদকের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ভুইয়া সোহেল ও চুয়া সেলিম বাহিনীর মধ্যে দ্বন্দ্ব বহু দিনের। তবে দেশীয় অস্ত্রের বদলে এখন চলছে প্রকাশ্যে গোলাগুলি।
মোহাম্মদপুর জেনেভা ক্যাম্পে থানা থেকে লুট করা অস্ত্র ব্যবহার হচ্ছে স্বীকার করলেও উদ্ধারে নানা সীমাবদ্ধতা রয়েছে পুলিশের।
মোহাম্মদপুর থানার ওসি আলী ইফতেখান হাসান গণমাধ্যমকে জানান, ‘পুলিশ ও থানা থেকে লুট করা অস্ত্র নিয়ে জেনেভা ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনা ঘটছে। আমরা অস্ত্রধারীদের তালিকা সংগ্রহের চেষ্টা করছি। কিছু নামও পেয়েছি। এখন আমরা যেভাবে অভিযান পরিচালনার নির্দেশ পাব কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে সেভাবেই এগিয়ে যাব।’