০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১৯:৪৩

চাঁদা না দিলে দোকান বন্ধের হুমকি দিতেন শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি খলিল

শাবিপ্রবি ছাত্রলীগ সভাপতি খলিল  © সংগ্রহীত

রেস্টুরেন্টে বাকি খেয়ে টাকা না দেওয়া, খাবারে তেলাপোকা দিয়ে হুমকি দিয়ে মোটা অঙ্কের চাঁদা চাওয়ার অভিযোগ রয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমানের বিরুদ্ধে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভোক্তা অধিকারের মাধ্যমে মামলায় জড়ানোরও হুমকি দিতেন তিনি।

ক্ষমতাসীন দলের ছত্রছায়ায় শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি খলিল ও সহ-সভাপতি মামুন শাহ সহ ছাত্রলীগের নেতারা বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়েছেন বলে অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী দোকান মালিকদের। বিভিন্ন দোকানে ও রেস্টুরেন্টে খেয়ে টাকা দিয়ে অস্বীকৃতি জানাতেন ও বাকি টাকা ফেরত চাইলে ছাত্রলীগ নেতাদের নিয়ে দোকান ভাঙচুর ও বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিতেন বলেও অভিযোগ তাদের।

এমনকি দলীয় প্রোগ্রামে চাঁদা দেওয়া, খেলার জন্য জার্সি স্পনসর করা, রমজানে ইফতারে চাঁদা দেওয়ার জন্য রেস্টুরেন্টের মালিকের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা নিতেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক সংলগ্ন 'সবুজ বাংলা' রেস্টুরেন্টেও ৯ হাজার ৬০০ টাকা বাকি খেয়ে সভাপতি খলিল লাপাত্তা হয়ে গেছেন বলে অভিযোগ করেন সবুজ বাংলা রেস্টুরেন্টের মালিক। 

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সবুজ বাংলা রেস্টুরেন্টের প্রোপাইটর মো. আবুল হোসেন বলেন, গত রমজানে ইফতার মাহফিলের জন্য  আমার কাছে খলিল ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। আমি পঞ্চাশ হাজার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে আমাকে হুমকি দেন। এরপর থেকে বাকি খেয়ে আর টাকা দিত না। টাকা চাইলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতো। 

আরও পড়ুন: মাভাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি সম্পাদকসহ ১৯ বহিষ্কার

তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগেও ছাত্র আন্দোলনের সময় রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে খাবারে তেলাপোকা পাওয়া গেছে অভিযোগ এনে আমাকে হুমকিধামকি দেয়। পরে আমার কাছ থেকে ৩০ হাজার টাকা দাবি করে, না দিলে ভোক্তা অধিকারে মামলা দেওয়ার হুমকি দেয়। পরে খলিল মুঠুফোনে ৫ হাজার টাকা দিতে বললে বাধ্য হয়ে ৫ হাজার টাকা দিয়ে দিছি। টাকার জন্য অনেক হেনস্তা করতো খলিল। 

এসবের ভিডিও আছে বলেও জানান আবুল হোসেন। তিনি আরো বলেন, আমি এখন এসব টাকা ফেরত চাই কিন্তু খলিলের সাথে যোগাযোগ করতে চাইলেও যোগাযোগ করতে পারতেছি না। 

এ ব্যাপারে জানতে  শাবিপ্রবি ছাত্রলীগের সভাপতি খলিলুর রহমানকে বারবার ফোন দিলে মুঠোফোন বন্ধ দেখায়। 

আরও পড়ুন: বাসে সহ-সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া জবি ছাত্র ছাত্রলীগ কর্মী, ছিলেন না আন্দোলনে

উল্লেখ্য, ১৭ জুলাই দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় পেছনের ফটক দিয়ে সাদা মাইক্রোবাস  টিলারগাঁও এলাকা দিয়ে পালিয়ে যান সভাপতি খলিলুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক সজীবুর রহমান সহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।