০১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৮:৫৫

৪ ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম

৪ ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে জখম  © সংগৃহীত

রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার চন্দ্রঘোনা ইউনিয়নের কেপিএম সিনেমা হল এলাকায় ছাত্রলীগের ৪ নেতাকর্মীকে কুপিয়ে ও হাতুড়ি ‍দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে বিএনপি ও ছাত্রদলের পরিচয় দেওয়া একদল দুর্বৃত্ত। স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, এই ঘটনায় নেতৃত্ব দেওয়া যুবদল কর্মী সোহেল হত্যা মামলার আসামি। বর্তমানে সে জামিনে বের হয়ে এলাকায় রয়েছে। এ ছাড়া তার বিরুদ্ধে কাপ্তাই থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

শনিবার (৩১ আগস্ট) রাত ৯টা ৩০ মিনিটের দিকে কেপিএম সিনেমা হল এলাকায় এই ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাত ৯টার দিকে কাপ্তাইয়ের চন্দ্রঘোনার হত্যা মামলায় জামিনে আসা যুবদলকর্মী সোহেলের নেতৃত্বে কয়েকজন যুবক প্রথমে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা আজিমকে হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে রক্তাক্ত করে। খবর পেয়ে রনি, রাফি, তুষার  তাকে বাঁচাতে আসলে তাদেরও মারধর ও কুপিয়ে রক্তাক্ত করে সোহেলের নেতৃত্বে আসা অন্তত ১৫/২০ জন যুবক।

পরে তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে চন্দ্রঘোনা মিশন হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়েছে। সেখানে তাদের চিকিৎসা দেওয়া হয়।  কোপানো ও মারধর করার পর হামলাকারীরা বিএনপির মিছিল করে বাজারে, এসময় আতঙ্কিত ব্যবসায়ীরা দ্রুত দোকানপাট বন্ধ করে দেয়। আহত চারজনই চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন ও কাপ্তাই উপজেলা ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের সাবেক ও বর্তমান নেতা।

আহত আজিমের বড় ভাই মিজান জানিয়েছেন, আমার ভাই আগে রাজনীতি করত, এখন সক্রিয় না।

তাকে কোনো কারণ ছাড়াই বিএনপির সোহেলের নেতৃত্বে রাসেল, মুরাদ, জিসানসহ কয়েকজন বাসায় ফেরার সময় পথ আটকে হাতুড়ি দিয়ে মারধর করে। হামলাকারীরা সবাই বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ করেছেন তিনি।
চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. জাকির হোসেন জানিয়েছেন, আমি নামাজ পড়ে বাসায় আসার পর একটি ঘটনার কথা শুনেছি, বিষয়টি দুঃখজনক। চন্দ্রঘোনায় আমরা এমন ঘটনা চাই না। ওখানে আসলে কি হয়েছে আমি বিস্তারিত জানি না।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কাপ্তাই সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহেদ ইসলাম জানান, কেপিএম এলাকায় বিএনপি এবং আওয়ামী লীগের একটি মারামারি ঘটনা শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেছে। পরে বিস্তারিত বলা যাবে।