ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ঢামেকেই মৃত্যু হয়েছে ১৭২ জনের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালেই মৃত্যু হয়েছে ১৭২ জনের। এরমধ্য ৮৪ জন হাসপাতালে এবং ৮৮ জনকে মৃত অবস্থায় ঢামেকে নিয়ে আসা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
তিনি বলেন, বেশির ভাগের মৃত্যু হয়েছে গুলিতে। হেডশট ও বুকে গুলি ছিল বেশি। নিহতদের মধ্যে মাত্র ৮৫ শতাংশের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ১৫ থেকে ২২শে আগস্টের মধ্যে মৃত্যু হওয়া ব্যক্তিদের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। তবে দ্বিতীয় ধাপে মৃত অবস্থায় আসা কিছু মরদেহের ময়নাতদন্ত হয়নি।
ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের ভাষ্য, কিছু পরিবারের সদস্যরা ময়নাতদন্ত করতে দেননি। যারা গুলিবিদ্ধ অবস্থায় মারা গেছেন, তাদের সব তথ্য আছে। ডেথ সার্টিফিকেটও দেয়া হয়েছে। তবে মৃত অবস্থায় আসা ব্যক্তিদের সঠিক তথ্য না থাকায় সার্টিফিকেট দেওয়া সম্ভব হয়নি।
আরো পড়ুন: বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নাম ভাঙিয়ে শিক্ষক-সরকারি কর্মকর্তাদের হয়রানি
তিনি বলেন, আন্দোলনে আহত হয়ে ২ হাজার ৬১৩ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাদের মধ্যে ৮২৯ জন ভর্তি ছিলেন। অনেক রোগী হাসপাতালে আনতে আনতেই মারা গেছেন। বর্তমানে প্রায় ১০০ জন চিকিৎসাধীন আছেন। আন্দোলনের সমন্বয়কদের সমন্বয়ে এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টার নির্দেশনায় আলাদা ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বিজিবি হাসপাতালে ১৯ এবং সিএমএইচে ২৬ জনকে পাঠানো হয়েছে।