ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ, ৪০ দিন পর মারা গেলেন সোহান
রাজধানীর রামপুরায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ শাহরিয়ার সোহান (২৮) মারা গেছেন। গত ১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর ৪০ দিন চিকিৎসাধীন থাকার পর গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) তিনি মারা যান। অফিস শেষে বাসায় ফেরার পথে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তিনি।
নিহত শাহরিয়ার সোহানের বাড়ি মাগুরার শ্রীপুর উপজেলায়। ঢাকায় একটি ফার্মাসিউটিক্যালসে চাকরি করতেন তিনি। তার পরিবারে বাবা, মা, ছোট ভাই ও স্ত্রী রয়েছে। বাবা শাহ সেকেন্দার আলী বলেন, ‘অভাবের সংসারের জন্য ছেলে লেখাপড়ার পাশাপাশি চাকরি করত। আমাদের সব শেষ হয়ে গেছে। এখন আমরা কীভাবে বাঁচব?’ আর সোহানের নানা আশরাফ হোসেন পল্টুর ভাষ্য, পুরো সংসার তার ওপর নির্ভরশীল ছিল।
আরো পড়ুন: দেশের সিস্টেমগুলোর সংস্কার শুরু করতে হবে শিক্ষা ক্ষেত্র দিয়ে: সারজিস আলম
জানা গেছে, গত ১৯ জুলাই সন্ধ্যায় রামপুরায় ছাত্র-জনতার সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও পুলিশের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। এদিন কোম্পানির কাজ শেষে বাসায় ফেরার প তার বুকে গুলিবিদ্ধ হয়। স্থানীয়রা তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সিএমএইচ হাসপাতালে গুলি বের করতে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
খবর শুনে সোহানের মরদেহ দেখতে সিএমএইচে যান আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ। বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে তারর প্রথম জানাজা হয়। পরে বিকেলে তাকে নিজ গ্রামে দাফন করা হয়েছে।