গুরুতর আহত সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ
রাজধানীর সচিবালয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ গুরুতর আহত হয়েছেন। সংঘর্ষে আহত হয়েছেন আরও অন্তত ৩০ জন। রোববার (২৫ আগস্ট) রাত ৯ টা ২০ মিনিটে এ ঘটনা ঘটে। হাসনাত আবদুল্লাহসহ আহতদের অনেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢামেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বাচ্চু মিয়া।
জানা যায়, বর্তমানে ওসেকে হাসনাতের চিকিৎসা চলছে। সচিবালয়ে অবরুদ্ধ থাকায় হঠাৎ তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। জরুরি বিভাগের ওসেকে তাকে অক্সিজেন লাগিয়ে রাখা হয়েছে। যদিও চিকিৎসকরা আশ্বাস্ত করেছেন, তার বড় ধরনের কোনো সমস্যা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত সাড়ে ৯টার দিকে ছাত্ররা সচিবালয়ের সামনে আসলে উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষের শুরুতে উভয়পক্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। একপর্যায়ে আনসার সদস্যরা কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়ে বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। এতে হাসনাত আবদুল্লাহসহ উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছেন।
এর আগে আনসারের একদল সদস্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেককে আটকে রেখেছেন। এমন খবরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল থেকে টিএসসির রাজু ভাস্কর্যে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা।
লাঠিসোঁটা হাতে হাজারো শিক্ষার্থীকে দৌড়ে সচিবালয়ের দিকে যেতে দেখা যায়। ছাত্ররা শিক্ষা ভবনের সামনে ও আনসাররা খাদ্য ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে ক্ষণে ক্ষণে সংঘর্ষে লিপ্ত হওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া জানান, রাত পৌনে ৯টা থেকে আহতরা হাসপাতালে আসা শুরু করে। এ পর্যন্ত ৩০জনের শিক্ষার্থী আহত হয়ে হাসপাতালে আসে। এদের মধ্যে বেশীর ভাগই মাথায় আঘাত রয়েছে। জরুরি বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে।
চাকরি জাতীয়করণের দাবিতে আজ সকাল থেকে সচিবালয়ের সামনে বিক্ষোভ করছিলেন আনসার সদস্যরা। একপর্যায়ে দুপুরে সচিবালয়ে ঢুকে পড়েন বিক্ষোভকারী আনসারদের একাংশ। তারা সচিবালয়ে তিন নম্বর গেট দিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে ঢুকে পড়েন