২০ আগস্ট ২০২৪, ১৬:১২

৪ দিনের রিমান্ডে দীপু মনি, জয় ৫ দিনের

ডা. দীপু মনি ও আরিফ খান জয়  © সংগৃহীত

মুদি দোকানি আবু সায়েদ হত্যা মামলায় সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে চারদিন এবং সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে পাঁচদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) তাদের আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য তাদের ১০ দিনের রিমান্ডে নিতে আবেদন করেন মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক তোফাজ্জল হোসেন। ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সুলতান সোহাগ উদ্দিন এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

রিমান্ড আবেদনে তদন্তকারী কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, ভিকটিমকে হত্যার ঘটনার বিষয়ে আসামিরা জ্ঞাত আছেন মর্মে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। মামলার ভিকটিমকে হত্যায় হুকুমদাতা, উসকানিদাতা ব্যক্তি ও তাদের নামসহ মামলার ঘটনার মূল রহস্য উদঘাটন এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত অপরাপর আসামিদের নাম-ঠিকানা সংগ্রহ করার জন্য দীপু মনি ও আরিফ খান জয়কে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।

এর আগে সোমবার (১৯ আগস্ট) রাতে সাবেক মন্ত্রী ডা. দীপু মনিকে রাজধানীর গুলশানের বারিধারা ডিওএইচএস এলাকা থেকে আটক করে ডিবি গুলশান বিভাগের একটি দল। তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর ও ঢাকায় মামলা রয়েছে। রাতেই তাকে মোহাম্মদপুর থানার একটি হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

জানা যায়, গত ১৩ আগস্ট ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রে রাজেশ চৌধুরীর আদালতে এস এম আমীর হামজা নামে এক ব্যক্তি এ মামলার আবেদন করেন। পরবর্তী সময়ে আদালত অভিযোগটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করতে মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেন। সচেতন নাগরিক হিসেবে একজন নিরীহ নাগরিক হত্যার বিচার চেয়ে এ মামলা করেছেন বলে জানান এই ব্যবসায়ী। মামলার অপর আসামিরা হলেন- সাবেক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর, সাবেক অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন-অর-রশীদ ও যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার।

অন্যদিকে একইদিন রাতে সাবেক ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়কে ধানমন্ডি এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। মোহাম্মদপুর থানায় হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। 

আরিফ খান জয় ২০১৪ সালে নেত্রকোনা-২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের টিকিটে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর জাতীয় ফুটবল দলের সাবেক এই অধিনায়ক যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রীর দায়িত্ব পান। চার বছর এ দায়িত্ব পালনের পর ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি আর আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পাননি। সবশেষ দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নৌকা প্রতীক না পেয়ে স্বতন্ত্র হিসেবে নির্বাচন করে হেরে যান আরিফ খান জয়।