২৮ জুলাই ২০২৪, ১০:৫৬

১১ দিনে ঢাকায় গ্রেপ্তার ২৬শ, সারা দেশে ৯ হাজার

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় সারা দেশে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে  © ফাইল ছবি

কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় সারা দেশে চলছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গ্রেপ্তার অভিযান। এতে শনিবার (২৭ জুলাই) পর্যন্ত ১১ দিনে ৯ হাজারের বেশি ব্যক্তি গ্রেপ্তার হয়েছেন। এর মধ্যে অনেককে পুরোনো মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। সব মিলিয়ে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ৯ হাজার ১২১ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য পাওয়া গেছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এক বিবৃতিতে দাবি করেছেন, দলের ৩৫ জন কেন্দ্রীয় নেতাসহ অসংখ্য নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কোটা সংস্কার আন্দোলনে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হত্যা-নির্যাতনের পর এখন সাজানো মামলা দায়েরের মাধ্যমে বিরোধী মতের নেতাদের হত্যা, গ্রেপ্তার, গুলি ও নির্যাতন করে পঙ্গু করা হচ্ছে। বিচার বিভাগকে দিয়ে রিমান্ডে নিয়ে নির্যাতন চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ তার।

এদিকে গত ২১ জুলাই থেকে রাজধানীতে চিরুনি অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ ও র‍্যাব। গ্রেপ্তার অভিযানে দেওয়া হচ্ছে ‘ব্লক রেইড’। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) শনিবার জানিয়েছে, রাজধানীর বিভিন্ন থানায় ২০৭টি মামলায় ২ হাজার ৫৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর মধ্যে শনিবার গ্রেপ্তার হয়েছেন ২৫২ জন।

আর র‍্যাব জানিয়েছে, নাশকতার অভিযোগে ২৯০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে তারা। এর মধ্যে ঢাকায় ৭১ এবং অন্যান্য স্থানে ২১৯ জন রয়েছে। ঢাকা জেলা পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, ঢাকা মহানগরের বাইরে নতুন করে চারটি মামলা হয়েছে। এ নিয়ে ঢাকা জেলার বিভিন্ন থানায় মামলা হয়েছে ২৪টি। এসব মামলায় ২০০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

আরো পড়ুন: ঢাকাসহ চার জেলায় আজ থেকে কারফিউ শিথিল থাকবে ১১ ঘণ্টা

নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুরে আরও ৫১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শনিবার পর্যন্ত নারায়ণগঞ্জে ২৪টি মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৪৮৭ জনকে। আর গাজীপুরে ৩৭টি মামলায় ৩৯৬ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলায় মামলা হয়েছে ৩০টি। এসব মামলায় ৮৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর বাইরে রংপুরে ১২টি মামলায় ১৮৫ জন, রাজশাহীতে ১৭টি মামলায় ৩৪৫ এবং বগুড়ায় ১৫টি মামলায় ২৯৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীরা গত ১ জুলাই থেকে লাগাতার কর্মসূচি পালন শুরু করেন। ১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সংঘর্ষের পর বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে। এর পরদিন থেকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় সংঘর্ষ, অগ্নিসংযোগ ও হতাহতের ঘটনা ঘটে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে। এরপর থেকে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের বড় অংশ বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী এবং তাদের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মী বলে জানা গেছে।