ফিল্টার ব্যবসায়ী থেকে যেভাবে আঙুল ফুলে কলাগাছ হল প্রশ্নফাঁসে জড়িত দুই ভাইয়ের
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনে (পিএসসি) প্রশ্নপত্র ফাঁসকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে আটক হওয়া ১৭ জনের মধ্যে ময়মনসিংহের দুই ভাই সাখাওয়াত হোসেন ও সায়েমের নাম উঠে এসেছে। তারা দুইজন ছিলেন ফিল্টার বিক্রি ও মেরামতের ব্যবসায়ী। তবে হঠাৎই তাদের জীবনযাত্রায় পরিবর্তন দেখা যায়। সাদা রংয়ের প্রাইভেটকারে চলাফেরা করেন। প্রায়ই বিভিন্ন দেশ ভ্রমণ করেন।
গণমাধ্যম থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়ার ইচাইল গ্রামের নতুন বাজারের ৫০০ মিটার দক্ষিণে তাদের বাড়ি। চার ভাই-বোনের মধ্যে সাখাওয়াত বড় আর সায়েম সবার ছোট। তাদের বাবা সায়েদ আলী প্রায় ৪০ বছর ধরে ওয়েল্ডিংয়ের ব্যবসা করেন। নগরের দিঘারকান্দা বাইপাস এলাকার কাদুরবাড়ি মোড়ে তার দোকান। প্রাথমিকের গণ্ডি পার হতে পারেননি সাখাওয়াত। মাদরাসায় পড়েছেন কয়েক মাস। ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে মা মারা যাওয়ার পর পড়াশোনা ছেড়ে এক যুগ আগে গ্রামে অটোরিকশার এসিড পানির ব্যবসা শুরু করেন তিনি। বছর দেড়েক ব্যবসা করে সুবিধা করতে পারেননি। এরপর এসএসসি পাস ছোটভাই সায়েমকে নিয়ে ঢাকায় চলে যান। সেখানে শুরু করেন ওয়াটার ফিল্টার বিক্রি ও মেরামতের ব্যবসা।
এ বিষয়ে স্থানীয় এলাকাবসী জানান, আমরা জানি ভালো লোক। কিন্তু গ্রেফতারের বিষয় শোনার পর সবাই অবাক। এই ধরনের কাজে জড়িত থাকা তো অবাক হওয়ারই বিষয়।
তবে সাখাওয়াতের ফুফু আমেনা খাতুনের দাবি, ভাতিজারা পানির ফিল্টারের ব্যবসা করে প্রচুর টাকা কামাইছে। এ ব্যবসাতে অনেক আয় উন্নতি হইছে। কিন্তু তাকে বন্ধুরা ফাঁসিয়ে দিছে।
এদিকে সাখাওয়াত-সায়েমের বাবা সাহেদ আলী বলেন, আমার ছেলেদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। তারা যদি প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকতো তাহলে সেই টাকা কোথায়। ছেলেরা ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে ব্যবসা করছে। লোনের টাকায় গাড়ি কিনেছে। তাদের প্রায় কোটি টাকা ব্যাংকে ঋণ আছে।