নারী চিকিৎসকের আগুনে ‘আত্মহত্যার’ ঘটনায় মামলা, খোঁজ মেলেনি অভিযুক্তের
ময়মনসিংহে শরীরে আগুন লাগিয়ে অপর্ণা বসাক নামে এক নারী চিকিৎসকের ‘আত্মহত্যা’র ঘটনায় মামলা হয়েছে। খন্দকার মাহবুব এলাহী নামে এক ব্যক্তিকে আসামি করে বুধবার (২৬ জুন) বিকেলে তার মা জোসনা বসাক মামলাটি করেন। এতে মাহবুব এলাহীর মা ও বাবার পরিচয় অজ্ঞাত উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এখনও তার পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি পুলিশ ও অপর্ণার স্বজনরা।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মো. মাইন উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি গণমাধ্যমকে বলেন, খন্দকার মাহবুব এলাহী নামের ফেসবুক আইডির ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। অচিরেই তাকে আইনের আওতায় আনা যাবে বলে আশা তার।
এর আগে ফেসবুকে ‘ভালো থেকো, আমি আর পারছি না’ স্ট্যাটাস দিয়ে শরীরে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন চিকিৎসক অপর্ণা বসাক। তিনি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মৃত রতন বসাকের মেয়ে। প্রেমিক অন্যত্র বিয়ে করায় অভিমানে তিনি এমনটা করেছেন বলে অভিযোগ স্বজন ও সহকর্মীদের।
গত মঙ্গলবার সকালে পুলিশ ময়মনসিংহ নগরীর পন্ডিতপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে। অর্পনা বসাক ২০১৬ সালে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করেন। তিনি ময়মনসিংহ নগরীর প্রান্ত স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
আরো পড়ুন: ‘ভালো থেকো’, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যা
অপর্ণা বসাক তার ফেসবুক আইডিতে একটা স্ট্যাটাসে খন্দকার মাহাবুব এলাহী নামে একজনকে মেনশন করে লেখেন- ‘ভালো থেকো, আমি আর পারছি না। হয়তো আমিও সবার মতো হেরে গেলাম। তোমাকে মুক্তি দিয়ে গেলাম।’
মা জোৎস্না বসাক জানান, সোমবার রাত ১০টার পর খাবার খেয়ে নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে অপর্ণা। পরদিন সকালে ফেসবুকে তার স্ট্যাটাস দেখে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। পরে স্থানীয়রা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসেকে খবর দেয়।