‘ভালো থেকো’, ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে নারী চিকিৎসকের আত্মহত্যা
ময়মনসিংহে 'ভালো থেকো, আমি আর পারছি না' ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে এক নারী চিকিৎসক শরীরের আগুন দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। নিহত চিকিৎসকের নাম ডা. অপর্ণা বসাক (৩০)। তিনি জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার মৃত রতন বসাকের মেয়ে। প্রেমিক অন্যত্র বিয়ে করায় অভিমানে তিনি এমনটা করেছেন বলে অভিযোগ স্বজন ও সহকর্মীদের।
মঙ্গলবার (২৫ জুন) সকালে পুলিশ ময়মনসিংহ নগরীর পন্ডিতপাড়া এলাকার একটি বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে।
অর্পনা বসাক ২০১৬ সালে বগুড়ার শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করেন । তিনি ময়মনসিংহ নগরীর প্রান্ত স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
মৃত্যুর আগে অপর্ণা বসাক তার ফেসবুক আইডিতে একটা স্ট্যাটাস দেন। সেখানে খন্দকার মাহাবুব এলাহী নামে একজনকে মেনশন করে লেখেন- ‘ভালো থেকো, আমি আর পারছি না। হয়তো আমিও সবার মতো হেরে গেলাম। তোমাকে মুক্তি দিয়ে গেলাম।’
এরপর নিজ শরীর আগুনে পুড়িয়ে বিদায় জানান পৃথিবীকে।
সহকর্মী ও স্বজনরা জানান, প্রেমিক অন্যত্র বিয়ে করেছেন এমন মানসিক যন্ত্রণা থেকে ডা. অপর্না বসাক নিজ বাসায় শরীরে আগুন দিয়ে আত্মহনন করেন। ডাকাডাকির পরও না উঠায়, দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে তার পোড়া মরদেহ দেখতে পান মা জোৎস্না বসাক।
নিহতের মা জোৎস্না বসাক জানান, সোমবার রাত দশটার পর খাবার খেয়ে নিজের কক্ষে ঘুমিয়ে পড়ে অপর্ণা। পরদিন সকালে ফেসবুকে তার স্ট্যাটাস দেখে ডাকাডাকি করলে কোনো সাড়া পাওয়া যায় না। পরে স্থানীয়রা পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসেকে খবর দেয়।
কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মাঈন উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে আমরা গিয়ে রান্নাঘরের দরজা ভেঙে অগ্নিদগ্ধ লাশ উদ্ধার করি। প্রাথমিক তদন্তে তিনি প্রেমের কারণে আত্মহত্যা করেছেন বলে মনে হচ্ছে। তবে পরিবার প্রেমের বিষয় নিয়ে কিছু বলছে না। বিষয়টি নিয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে স্বজনদের কাছ থেকে কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।