২৩ জুন ২০২৪, ২২:৩৪

মাদরাসা প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ, যেভাবে ঘটনা বাহিরে এলো

  © সংগৃহীত

জয়পুরহাট জেলা শহরের একটি কওমি মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় রোববার (২৩ জুন) বিকেলে মেয়েটির বাবা বাদি হয়ে থানায় মামলা করেছেন।

মামলার আসামি আজিজুল হক ফেন্সিকে (৫৭) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজিজুল ওই মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা এবং জেলা শহরের বিশ্বাসপাড়ার বাসিন্দা।

পুলিশ ও মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, জেলা শহরের কওমি হাফেজিয়া বালিকা মাদরাসায় পড়াশোনা করা ওই ছাত্রী মাদ্রাসাটির আবাসিকে থাকেন। ঈদে ছুটি হলে মেয়েকে নিতে তার বাবা গত ১৬ জুন মাদরাসায় যান। কিন্তু মাদরাসার মাসিক টাকা বাকি থাকার কারণে মেয়েকে বাবার সঙ্গে দেখা করতে ও বাড়িতে যেতে দেননি আজিজুল। পরে ওই মেয়েকে না নিয়েই তার বাবা বাড়ি চলে যান। এরপর ঈদের পরেরদিন ১৮ জুন বিকেলে ওই ছাত্রীকে বাগান বাড়িতে নিয়ে যান আজিজুল। এরপর সেখানে জোরপূর্বক ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন এবং এ কথা কাউকে বলতে নিষেধ করেন। পরে মাদরাসার একটি কক্ষে তাকে আটকে রাখেন।

শনিবার (২২ জুন) ওই মেয়েটির দুই বান্ধবী মাদরাসায় আসলে সে তাদের ঘটনাটি খুলে বলে। এরপর তারা পালানোর চেষ্টা করে। একপর্যায়ে রোববার (২৩ জুন) বেলা ১১টার দিকে তিন সহপাঠী পালিয়ে এক সহপাঠীর বাড়িতে আশ্রয় নিয়ে সহপাঠীর মাকে ঘটনাটি খুলে বলে। এরপর তারা পুলিশের কাছে যান। পুলিশ এসে আজিজুলকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। পরে মেয়ের বাবা মামলা করলে তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

আটকের আগে কথা হয় আজিজুল হক ফেন্সির সঙ্গে। মাদরাসার মাসিক টাকার জন্য আটকে রেখে ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ অস্বীকার করে তিনি বলেন, তিন ছাত্রী আজ রোববার সকালে মাদরাসা থেকে পালিয়ে গেছে। অনেক জায়গায় খোঁজ করে তাদের পাওয়া যায়নি।

জয়পুরহাট থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হুমায়ুন কবির বলেন, ছাত্রীটির বাবা বাদী হয়ে আজিজুল হক ফেন্সিকে আসামি করে থানায় ধর্ষণের মামলা করেছেন। আটক আজিজুলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। তাকে আগামীকাল সোমবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে। এ ছাড়া ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আগামীকাল হাসপাতালে পাঠানো হবে।