কিশোর গ্যাং পরিচালনাকারীদেরও আইনের আওতায় আনা হবে: র্যাব মহাপরিচালক
কিশোর গ্যাং গ্রুপের মদদদাতা হিসেবে যারা কাজ করছে তাদেরও আইনের আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) নতুন মহাপরিচালক ব্যারিস্টার মো. হারুন অর রশীদ। রবিবার (২৩ জুন) র্যাবের সব ব্যাটালিয়নের অধিনায়কদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বিশেষ সভা শেষে রাজধানীর কুর্মিটোলায় র্যাব সদর দফতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন তিনি।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, 'ইদানীং কিশোর গ্যাংয়ের উৎপাত বেড়ে চলেছে। এই কিশোর গ্যাংয়ের বেশিরভাগই তরুণ প্রজন্ম। এদের কিশোর অপরাধ থেকে মুক্ত করতে চাই। এ নিয়ে আমরা জোরালোভাবে কাজ করছি।'
তিনি বলেন, ‘এমনকি যারা কিশোর গ্যাং পরিচালনা করছে সেদিকেও নজর দিচ্ছি। যে অপরাধ করে, যারা অপরাধ করায় দুজনই অপরাধী। উভয়কেই আইনের আওতায় আনা হবে এবং কিশোর গ্যাং নির্মূলে রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সম্পর্ক খুঁজে পেলে তাদের বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
সভায় সিদ্ধান্ত হওয়া তিনটি কাজকে গুরুত্ব দেয়া হবে জানিয়ে র্যাব মহাপরিচালক বলেন, মাদক ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, উগ্রবাদ; সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন এবং কিশোর গ্যাং কালচার নির্মূল নিয়ে আমরা জোরালোভাবে কাজ শুরু করেছি। এই তিনটি কাজকে গুরুত্ব দিয়ে আমাদের নতুন মিশন শুরু হবে।
তিনি বলেন, মাদক নির্মূলে দরকার সামাজিক আন্দোলন। গণমাধ্যমকে আশা করবো, পাশে থাকবে। শুধু সহযোগিতা নয় আমি সমাজ, গণমাধ্যমের অংশীদারিত্ব চাই। অনেক ক্ষেত্রে গণমাধ্যমই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারীবাহিনীর আগে জেনে যায়। তাই আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ।
কিশোর গ্যাং কালচারের নেপথ্যে যারা আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা তাদের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেয়া হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কিশোর গ্যাং কালচার নির্মূল, সাসটেইনেবল সমাজ প্রতিষ্ঠায় গ্যাং কালচারে জড়ানো কিশোরদের সংশোধন করে মূলধারায় কীভাবে আনা যায় সে চেষ্টা করবে র্যাব। আর যারা অপরাধ করে ও সহায়তা করে তারা দুপক্ষই সমান অপরাধী। অবশ্যই তাদের আইনের আওতায় আনা উচিত।
র্যাব মহাপরিচালক বলেন, ‘অনলাইন গেমের মাধ্যমে জুয়া বন্ধেও আমরা কাজ করবো। অনলাইন জুয়া প্রতিরোধে আমাদের সাইবার ক্রাইম ইউনিট কাজ করছে।’