ঢামেকে সাদা অ্যাপ্রোন পরিহিত তরুণী আটক
অ্যাপ্রোন পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাঘুরি করায় রিপা আক্তার নামে এক তরুণীকে আটক করা হয়েছে। তবে ওই তরুণী কামরাঙ্গীরচর এলাকার একটি ওষুধ কোম্পানির প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি করেন বলে দাবি করেছেন।
বৃহস্পতিবার (২০ জুন) সন্ধ্যার দিকে হাসপাতালে পুরাতন ভবনের গাইনি বিভাগের ২১২ লেবার ওয়ার্ডের অ্যাপ্রোন পরে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করার সময় দায়িত্বরত নারী আনসার সদস্যরা তাকে আটক করেন।
হাসপাতালের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডের প্রবেশ পথে দায়িত্বরত নারী আনসার সদস্য লুৎফা জানান, রিপা নামে ওই নারী সাদা অ্যাপ্রোন পরা অবস্থায় ওয়ার্ডের ভেতরে ঘোরাঘুরির সময় তার কাছে হাসপাতালে আসার কারণ ও পরিচয় জানতে চাওয়া হয়।
রিপা নামে ওই নারী উপযুক্ত কারণ ও পরিচয় দিতে না পারায় বিষয়টি হাসপাতালের আনসার কর্তৃপক্ষদের অবগত করা হয়। পরে তাকে আটক করে হাসপাতালে প্রশাসনিক ব্লক এলাকায় নিয়ে যাওয়া হয়।
রিপা আক্তার জানান, তিনি একটি ওষুধ কোম্পানিতে চাকরি করেন। এক আত্মীয়কে দেখার জন্য ঢাকা মেডিকেলে এসেছেন বলে দাবি করেন। পরে আত্মীয়ের নাম বলতে পারেননি। একপর্যায়ে রিপা স্বীকার করেন, নিউমার্কেট থেকে অ্যাপ্রোন কিনে ঢামেকে আসেন।
ঢাকা মেডিকেলের উপ-পরিচালক (অর্থ ও স্টোর) ডা. মো. খালেকুজ্জামান খান বলেন, রিপা আক্তার নামে এই ভুয়া চিকিৎসককে আমাদের আনসার সদস্যরা আটক করেন। এরপর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তাকে আমরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পে হস্তান্তর করি।
আটক ওই নারী কামরাঙ্গীরচর এলাকায় থাকেন। তার গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফল থানায় বলে জানান ডা. মো. খালেকুজ্জামান।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ (পরিদর্শক) মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ওই নারীকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে ঢামেক থেকে মুনিয়া খান রোজাকে (২৫) আটক করা হয়। পরে চিকিৎসক পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়। সেই মামলায় তাকে কারাগারে পাঠান আদালত। বর্তমানে তিনি জামিনে মুক্ত আছেন।