এক পুলিশ আরেক পুলিশকে গুলি করল কেন? যা জানা যাচ্ছে
রাজধানীর গুলশানের কূটনৈতিক এলাকায় ফিলিস্তিন দূতাবাসের সামনে এক পুলিশ সদস্যের গুলিতে আরেক পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছেন। পুলিশ জানায়, শনিবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে গুলশান কূটনৈতিক এলাকায় কাওসার আহমেদ নামে এক কনস্টেবলের গুলিতে মনিরুল নামে আরেক কনস্টেবল নিহত হন।
তারা দু’জনই ফিলিস্তিনি দূতাবাসের বাইরে অবস্থিত পুলিশ বক্সে দায়িত্ব পালন করছিলেন। নিহত কনস্টেবল মনিরুল ইসলামের বাড়ি নেত্রকোনা। তিনি ২০১৮ সালে পুলিশে যোগ দেন।
এ ঘটনায় জাপান দূতাবাসের গাড়িচালক সাজ্জাদ হোসেন ও অজ্ঞাত এক সাইকেল আরোহী আহত হয়েছেন। তাদের চিকিৎসার জন্য নিকটস্থ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ও ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমান ঘটনাস্থলে যান।
ডিএমপি কমিশনার কমিশনার হাবিবুর রহমান বলেন, যে পুলিশ সদস্য গুলি করেছেন, তাকে আটক করে গুলশান থানায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ঘটনার ব্যাপারে এখনও তারা পরিষ্কার নন। তবে প্রাথমিকভাবে তিনি মনে করছেন, কোনো মানসিক চাপের কারণেই হয়তো ওই কনস্টেবল এ ধরনের আচরণ করেছেন।
আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন জানান, কনস্টেবল কাউসার আহমেদ উন্মাদের মতো এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়েছে। ঘটনাস্থল থেকে আমরা কিছু গুলির খোসা এবং ২০ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছি। আক্রমণকারী পুলিশ সদস্যকে নিরস্ত্র করে গুলশান থানায় নেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় জাপান দূতাবাসের এক গাড়িচালক আহত হয়েছেন। তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা তদন্ত শুরু করেছি।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানান, গুলশানে দায়িত্ব পালনের জন্য পুলিশ সদস্যদের ব্রাজিল থেকে আনা এসএমটি সাবমেশিনগান দেওয়া হয়েছে। এই অস্ত্র দিয়ে মিনিটে ৬০০ রাউন্ড গুলি করা যায়। দায়িত্বরত কনস্টেবলের হাতে সেই অস্ত্র ছিল। সহকর্মীকে লক্ষ্য করে তিনি সেই অস্ত্র দিয়ে ৩৮ রাউন্ড গুলি ছুড়েছেন।
এদিকে, ঘটনার পর থেকেই কূটনৈতিক এলাকাসহ পুরো গুলশানের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে। ঘটনাস্থলে সোয়াট মোতায়েন করা হয়েছে। তবে কূটনীতিকদের মধ্যে যাতে আতঙ্ক না ছড়ায়, সেজন্য নিরাপত্তার ব্যাপারে তাদের আশ্বস্ত করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ঘটনাটি নিছকই দুজন পুলিশ সদস্যের মধ্যে। পুরো এলাকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা ঠিক আছে।