সংঘর্ষের সময় গুলি, প্রাণ গেল তরুণের
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে এক তরুণ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ১২ জন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় এক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক ইউপি সদস্যের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। উপজেলার নাওড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে জানান রূপগঞ্জ থানার ওসি দীপক চন্দ্র সাহা।
গুলিতে নিহত তরুণ মো. দ্বীন ইসলাম (২৩) নাওড়া এলাকার বিল্লাত হোসেনের ছেলে। আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। পুলিশ ও ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জমির ব্যবসা ও এলাকায় প্রভাব বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমানের সঙ্গে ইউপি সদস্য মোশাররফ হোসেনের দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল।
মঙ্গলবার মোশাররফ এক স্বজনের জানাজায় অংশ নিতে গিয়ে হামলার মুখে এলাকা ছাড়েন। এ নিয়ে তিন দিন ধরে দু’পক্ষের লোকজনের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। এরই জেরে বৃহস্পতিবার বিকেলে দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি হয়। সন্ধ্যায় তারা সংঘর্ষে জড়ান।
এ বিষয়ে জানতে মোশাররফ হোসেনের বক্তব্য জানা যায়নি। তার ফুফাতো ভাই ও নিহত দ্বীন ইসলামের চাচা নাজমুল প্রধান বলেন, মিজানুর তার লোকজন নিয়ে হামলা করেন। এর প্রতিবাদ জানালে সংঘর্ষ হয়। তাদের ছোঁড়া গুলিতে দ্বীন ইসলাম আহত হলে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। ঘটনাস্থলে পুলিশ থাকলেও নির্বিকার ছিল বলে অভিযোগ তার।
আরো পড়ুন: মারধরের অভিযোগ দেওয়ায় যবিপ্রবি ছাত্রকে রাতভর নির্যাতন, ‘গুলির’ হুমকি
ভাইস চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি ঘটনার সঙ্গে জড়িত না। গ্রামবাসীর ওপর মোশাররফ ও তার ভাইয়ের লোকজন হামলা চালালে তাদের সংঘর্ষ হয়।
ওসি দীপক চন্দ্র বলেন, ঘটনার সময় নাওড়া পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা ছিলেন। তারা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। পরে থানার পুলিশও পৌঁছায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ১৩ রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছোড়া হয়েছে। পরে তারা ছত্রভঙ্গ হলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। পুলিশ নির্বিকার থাকার অভিযোগ সত্য নয়।