দুদকও জানে না বেনজীর কোথায়
পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ও তার পরিবার দেশত্যাগ করেছে কি না সে বিষয়ে কোনো তথ্য নেই—বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কমিশনার (তদন্ত) মো. জহুরুল হক। মঙ্গলবার (৪ মে) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা জানান।
কমিশনার বলেন, (বেনজীর আহমেদ) দেশে আছে নাকি বিদেশে গেছেন এ সংক্রান্ত কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য আমাদের কাছে জানা নেই।
তলবের বিষয়ে জানতে চাইলে জহুরুল হক বলেন, দুদক কাউকে নোটিশ করলে তিনি আসতে বাধ্য কিনা না, সেটা আইনে সুস্পষ্ট বলা নেই। না আসলে ধরে নিতে হবে তার কোনো বক্তব্য নেই। তবে তার সুযোগ আছে সময় চাওয়ার। সময় চাইলে দুদক ১৫ দিন সময় দিতে পারবে। এই এখতিয়ার কমিশনের রয়েছে।
তিনি বলেন, সময় দেওয়ার পরও যদি তিনি দুদকে না আসেন তাহলে ধরে নিতে হবে তার কোনো বক্তব্য নেই। তখন নথিপত্র দেখে যদি অভিযোগ প্রমাণিত হয় প্রমাণিত হবে, না হলে নেই।
জহুরুল হক বলেন, অভিযুক্ত ব্যক্তির অনুপস্থিতিতেও বিচার হবে, এতে কোন বাধা নেই।
এর আগে গত ২৮ মে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের তলবি নোটিশ পাঠায়। দুদক উপপরিচালক হাফিজুল ইসলাম স্বাক্ষরিত চিঠিতে, আগামী ৬ জুন বেনজীর আহমেদকে এবং ৯ জুন তাঁর স্ত্রী জীশান মির্জাসহ সন্তানদের দুদকে হাজির হতে বলা হয়।
দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, অনুসন্ধানের শুরুতে বেনজীর পরিবারের বিপুল পরিমাণ সম্পদের তথ্য উঠে এসেছে। এসব সম্পদের বিষয়ে ওই পরিবারের সদস্যদের আয়কর নথি যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। কীভাবে তাঁরা এসব সম্পদ গড়েছেন, এর ব্যাখ্যা দরকার। সে কারণে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন মনে করছে অনুসন্ধানী দল। আগামী ৬ জুন বেনজীর আহমেদকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনুসন্ধানী দলের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে কমিশন অনুমোদন দিয়েছে।