বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রের খণ্ডিত লাশ উদ্ধারের ঘটনায় চাচাসহ তিনজন গ্রেপ্তার
ময়মনসিংহে বিশ্ববিদ্যালয়শিক্ষার্থী ওমর ফারুক সৌরভ (২২) হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে তার চাচা ইলিয়াস উদ্দিনের নাম জানা গেলেও বাকি দুজনের নাম জানানো হয়নি। মঙ্গলবার (৪ জুন) জেলা ডিবির ওসি ফারুক হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি বলেন, ওমর ফারুককে হত্যার ঘটনায় তার চাচাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। লাশ গুমে ব্যবহৃত প্রাইভেট কারটিও উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটন, হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের বিষয়ে দুপুরে পুলিশ সুপারের কার্যালয় সংবাদ সম্মেলন করা হবে। সেখানে বিস্তারিত জানানো হবে।
ওমর ফারুক জেলার ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার তারাটি গ্রামের বাসিন্দা। তবে তার পরিবার স্থায়ীভাবে ঢাকায় বসবাস করে। বাবা ইউসুফ আলী। ওমর ফারুক প্রেসিডেন্সি ইউনিভার্সিটির ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন।
আরো পড়ুন: খণ্ডিত লাশ জবি শিক্ষার্থীর নয়, জানাল প্রশাসন
গত রোববার সদর উপজেলার মনতলা এলাকায় সেতুর নিচে তার খণ্ডিত লাশ পায় পুলিশ। ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার তার গ্রামে দাফন করা হয়েছে। এ ঘটনায় বাবা ইউসুফ আলী রোববার রাতে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেছেন। এতে অজ্ঞাতনামা কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
ওমর ফারুকের স্বজনদের অভিযোগ, গত ১২ মে ওমর ফারুক তার চাচাতো বোনকে বিয়ে করেন। চাচা ইলিয়াস সে বিয়ে মেনে নেননি। তিনি হত্যার হুমকিও দিয়েছিলেন। এর জের হত্যা করা হয়েছে তাকে।