ধূমপানে নিষেধ করায় শিক্ষকের বাড়িতে কিশোর গ্যাংয়ের হামলা
কুষ্টিয়ায় প্রকাশ্যে ধূমপান করতে নিষেধ করায় নিজ বাড়িতে হামলার শিকার হয়েছেন এক কলেজ শিক্ষক। শিক্ষক ও তার স্বজনকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টাও করে স্থানীয় কিশোর গ্যাং সদস্যরা।
গত ১৯ এপ্রিল কুষ্টিয়া শহরে কলেজ শিক্ষক শামিম হোসেনের বাড়িতে এই হামলা হয়। স্থানীয় কয়েকজন যুবককে ধূমপানে বাধা দেয়ার কারণেই এই হামলা করা হয়েছে এমন অভিযোগে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী শিক্ষক। এ ঘটনায় দুইজনকে গেপ্তার করেছে পুলিশ।
স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সদর উপজেলার হাটশহরিপুর ইউনিয়নের ফারাজীপাড়া জামে মসজিদের পাশের একটি দোকানে সিগারেট খাচ্ছিল স্থানীয় একটি কলেজের প্রভাষক শামীম হোসেনের এক ছাত্র ও তার বন্ধুরা। এ সময় শামীম এশার নামাজ শেষে বাড়ি ফিরছিলেন। এই দৃশ্য দেখে ওই কিশোদের সিগারেট খেতে বারণ করেন তিনি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ হয়ে কিশোররা লাঠি নিয়ে শিক্ষকের ওপর হামলা চালায়। এ সময় স্থানীয়রা কিশোর গ্যাং সদস্যদের হাত থেকে শিক্ষককে রক্ষা করেন। পরে শিক্ষকের বাড়িতে গিয়ে আবারও হামলা চালায় তারা। এবার ধারালো অস্ত্র দিয়ে জখম করা হয় শিক্ষক শামীম হোসেন এবং তার বড় ভাই শাহীন বিশ্বাসকে। ভাঙচুর করা হয় বাড়িঘর।
এ বিষয়ে শিক্ষক শামীম হোসেন বলেন, তাদের একজন আমার ছাত্র। যেহেতু ওরা আমার ছাত্র, তাই তাদের সিগারেট খেতে বারণ করি। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আমার ওপর হামলা চালায়। পরে আমার বাড়িতে গিয়ে স্থানীয় হ্যাপী নামে এক যুবকের নেতৃত্বে ধারালো অস্ত্র আর লাঠি দিয়ে হামলা চালায়।
হামলায় বাড়িঘর ভাঙচুরের পাশাপাশি তিনি, তার বড় ভাই শাহীন ও তার ভাতিজাকে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম কর হয় বলে জানান তিনি। আমার বাড়িঘরও ভাঙচুর করে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় কুষ্টিয়ার আড়াইশ শয্যার হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাদের।
কুষ্টিয়া মডেল থানার ওসি শেখ মো. সোহেল রানা ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, মামলার পর দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।