হামলার ৪ দিন পর আহত ছাত্রলীগ নেতা সজীব মারা গেলেন
লক্ষ্মীপুরের চন্দ্রগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হামলার ৪ দিন পর আহত ছাত্রলীগ নেতা এম সজীব মারা গেছেন। মঙ্গলবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকার পপুলার হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
সজীবের মৃত্যুর বিষয়টি চন্দ্রগঞ্জ থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদুর রহমান মাসুদ নিশ্চিত করেছেন। সজীব তার অনুসারী ছিলেন। ঘটনার পরে মাসুদ তাকে ঢাকা চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়।
মাসুদ বলেন, সজীবের মাথায় অস্ত্রোপচার করা হয়। এরপর থেকে তাকে আইসিউতে রাখা হয়। চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেছেন।
সজিব চন্দ্রগঞ্জ কফিল উদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। তিনি চন্দ্রগঞ্জের পাঁচপাড়া গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার ছেলে।
এর আগে গত শুক্রবার (১২ এপ্রিল) রাত ২টার দিকে সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জ ইউনিয়নের পাঁচপাড়া গ্রামের যৈদের পুকুরপাড়ে অতর্কিত হামলায় সজিবসহ ৪ জন আহত হন। অভিযোগ রয়েছে তাদেরকে গুলিও করা হয়েছে।
এদিকে, হামলার ঘটনার সোমবার (১৫ এপ্রিল) রাতে সজিবের মা বুলি বেগম বাদি হয়ে চন্দ্রগঞ্জ থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহবায়ক কাজী মামুনুর রশিদ বাবলু ও সদস্য সচিব তাজুল ইসলাম তাজু ভূঁইয়াসহ ১১ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন।
এতে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। এ ঘটনা সোমবার চন্দ্রগঞ্জের বিভিন্ন এলাকা থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা তাজু ভূঁইয়াসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করে। মঙ্গলবার দুপুরে তাদেরকে লক্ষ্মীপুর আদালতের মাধ্যমে জেলা কারাগারে পাঠায় পুলিশ।