ছাত্রীকে ধর্ষণ: আ.লীগ নেতা বড় মনিকে দল থেকে অব্যাহতি
ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে অভিযুক্ত বড় মনিকে টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতির পদ থেকে সাময়িক অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। একই সাথে তাকে কেন স্থায়ী অব্যহতির জন্য কেন সুপারিশ করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
এর আগে গত ২৯ মার্চ ধর্ষণের অভিযোগ এনে বড় মনির বিরুদ্ধে মামলা করেছিলেন ওই কলেজ ছাত্রী। অস্ত্রের মুখে ওই কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ‘৯৯৯’-এ কল পেয়ে ঢাকার অদূরে তুরাগ থানা এলাকার সিটি আবাসিক এলাকার একটি ফ্ল্যাট থেকে ওই তরুণীকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর পরিবার ও পুলিশের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ওই ছাত্রী রাজধানীর দক্ষিণখানে তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস করেন। তার স্বামী সংযুক্ত আরব আমিরাত প্রবাসী। মাস দুয়েক আগে ফেসবুকের মাধ্যমে বড় মনির সঙ্গে তার পরিচয় হয়। মেসেঞ্জার ও হোয়াটসঅ্যাপে তাদের কথা হতো। এক পর্যায়ে তারা জানতে পারেন, দু’জনের বাড়িই টাঙ্গাইলে। কলেজছাত্রীকে ‘বোন’ বলে সম্বোধন করতেন বড় মনি।
ঘটনার দিন উত্তরার মাসকট প্লাজার কাছাকাছি গিয়ে বড় মনি ফোন করে ওই ছাত্রীকে দেখা করার জন্য ডাকেন। ডাকে সাড়া দিয়ে মাসকট প্লাজার পেছনে বড় মনির সঙ্গে দেখা করেন ওই ছাত্রী। সর্বশেষ শুক্রবার মোবাইলে খুদে বার্তা পাঠিয়ে ওই তরুণীকে জমজম টাওয়ারের কাছাকাছি একটি শোরুমের সামনে আসতে বলেন বড় মনি। রাত ৭টা ৩৫ মিনিটের দিকে জমজম টাওয়ারের সামনে পৌঁছালে তাকে রিকশায় উঠিয়ে তুরাগ থানার প্রিয়াঙ্কা সিটির ৬ নম্বর সড়কের একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই বাসার তৃতীয় তলায় একটি ফ্ল্যাটে নিয়ে বড় মনি ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেন এবং বাসার নিচে রেখে চলে যান। এরপর ওই ছাত্রী তার বাবাকে ফোন করে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। বাবা আসার পর ৯৯৯-এ ফোন করে পুলিশি সহায়তা চান ভুক্তভোগী। মধ্যরাতে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে।