০৬ এপ্রিল ২০২৪, ২৩:১২

নামাজের মাসআলা নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় মসজিদে সংঘর্ষ, পুলিশসহ আহত ১৫

  © সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জে মসজিদের ভেতরে নামাজের মাসআলা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে দুপক্ষের সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাতে উপজেলার চরচারতলা মোল্লাবাড়ি ও কিছকি বাড়ি গোষ্ঠীর মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। 

চরচারতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদে ইমামতি করেন মোল্লাবাড়ির নেতা মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা। শুক্রবার এশা ও তারাবির নামাজ শেষে ইমামের অনুমতি নিয়ে নামাজের কিছু মাসআলা নিয়ে মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন কিছকি বাড়ির নেতা ঠিকাদার শফিকুর রহমান। এই নিয়ে মুসল্লিদের দুপক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়। পরে নামাজ শেষে মসজিদের বাইরে উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে পুলিশসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। দুপক্ষের সংঘর্ষে মসজিদের দরজা-জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। 

মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা বলেন, তারাবি নামাজ শেষে কিছকি বাড়ির নেতা ঠিকাদার শফিকুর রহমান দুই মিনিট কথা বলতে আমার অনুমতি চাইলে, আমি তাঁকে অনুমতি দেই। তিনি বলেন, এ মসজিদের কোনো মুসল্লিরই নামাজ হয় না। এতে উপস্থিত মুসল্লিরা প্রতিবাদ করেন। এতে শফিকুল ইসলামের বাড়ির লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদসহ আমাদের বাড়ির লোকজনের ওপর হামলা করেন।

তবে মসজিদের মুসল্লি ঠিকাদার শফিকুর রহমান বলেন, আমি তারাবি নামাজ শেষে নিয়ম অনুযায়ী অনুমতি নিয়ে নামাজের কিছু জরুরি মাসআলার বিষয়ে ইমাম ও মুসল্লিদের দৃষ্টি আকর্ষণ করি। নামাজের প্রয়োজনীয় তাসবিহ পাঠের জন্য রুকু, সেজদা ও দাঁড়ানোতে পর্যাপ্ত সময় দেওয়া ও কাতার সোজা করা করার গুরুত্বের বিষয়ে খেয়াল দিতে ইমামকে অনুরোধ করি। এতে ইমাম ও তাঁর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে মসজিদের ভেতরেই আমাকে নাজেহাল করেন। পরে তাঁরা আমার ও আমার এক ভাইয়ের বিল্ডিংয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। আমার ব্যবহারের গাড়ি ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেন। এ সময় আমাদের বাড়ির আটজন গুরুতর আহত হন।

তবে স্থানীয়দের ভাষ্য, চরচারতলা উত্তরপাড়া জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মহিউদ্দিন মোল্লা স্থানীয় একটি আলিম মাদ্রাসার অধ্যক্ষ। মাদ্রাসাটির নামকরণ নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। মসজিদে মাসআলা সংক্রান্ত বিষয়টি একটি অজুহাত মাত্র। 

এই বিষয়ে আশুগঞ্জ থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাহিদ আহম্মেদ বলেন, সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণ আনতে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এ সময় অফিসারসহ তিন পুলিশ আহত হন। ঘটনার পর থেকে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবে।