ঢাবি ছাত্র হত্যা: সেনা ও বিজিবি সদস্যসহ ৭ জনের যাবজ্জীবন
- টিডিসি রিপোর্ট
- প্রকাশ: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৯ PM , আপডেট: ২৪ মার্চ ২০২৪, ১০:৫৯ PM
জয়পুরহাটের আক্কেলপুরের দক্ষিণ কানুপুর গ্রামে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ছাত্র আব্দুর রহিম হত্যা মামলায় সাত আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে। রবিবার (২৪ মারচ) জয়পুরহাটের অতিরিক্ত দায়রা জজ-১ম আদালতের বিচারক নুরুল ইসলাম এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে আক্কেলপুরের বেগুনবাড়ি গ্রামের ওসমান আলী সরদারের ছেলে আব্দুল গফুর ও মামুনুর রশিদের ছেলে সোহাগ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া পলাতক রয়েছে একই গ্রামের প্রয়াত হযরত আলী সরদারের ছেলে ফরহাদ আলী সরদার ওরফে ঝন্টু, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মাহমুদ তারিক, জাহাঙ্গীর আলম মণ্ডলের ছেলে তৌফিকুল ইসলাম, প্রয়াত মনির উদ্দিন সরদারের ছেলে ডুয়েল ওরফে বখতিয়ার, দেলোয়ার হোসেনের ছেলে হাসিবুল হাসান। তাদের মধ্যে সেনা সদস্য ডুয়েল ২২ ব্যাটালিয়ন ঢাকা সেনানিবাসের নায়েব সুবেদার। আর হাসিবুল বিজিবির ১৯ রাইফেল ব্যাটালিয়নের সিপাহি।
মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ঢাবি ছাত্র আব্দুর রহিম ঈদের ছুটিতে নিজ গ্রাম দক্ষিণ কানুপুরে গিয়ে ২০০০ সালের ১১ জানুয়ারি বিকেলে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। পরদিন গ্রামের পাশের একটি পুকুরপাড়ে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় রহিমের বড় ভাই আসাদুল ইসলাম বাবুল পূর্ব শত্রুতার জেরে হত্যার অভিযোগে গ্রামের ঝন্টু, তৌফিকুল ইসলাম ও জুয়েলের নাম উল্লেখ করে আক্কেলপুর থানায় মামলাটি করেন। আসামিদের স্বীকারোক্তিতে পরে ২০০৭ সালে তদন্ত কর্মকর্তা সাতজনের নামে অভিযোগপত্র জমা দেন।
দীর্ঘ ২৪ বছর পর রবিবার দুই আসামির উপস্থিতিতে ও পাঁচ জনের অনুপস্থিতিতে আদালতের বিচারক এ রায় দেন। মামলায় বাদীপক্ষের আইনজীবী ছিলেন সরকারি কৌঁসুলি নৃপেন্দ্রনাথ মণ্ডল (পিপি), গকুল চন্দ্র মণ্ডল (এপিপি)। আসামিপক্ষের আইনজীবী ছিলেন মিজানুর রহমান।