১৫ মার্চ ২০২৪, ২১:৫৩

দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ছাত্রলীগ নেতার উপর হামলা, হাসপাতালে ভর্তি

হামজা খান  © সংগৃহীত

মানিকগঞ্জ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হামজা খানের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) রাতে জেলা শহরের মানিকগঞ্জ পৌরসভার (নগর ভবন) সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে।

হামজা পশ্চিম দাশড়া এলাকার মৃত জুলফিকার মালেকের ছেলে। ভুক্তভোগীর মা মনোয়ারা খানম চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত পরিচয়ের বিশ থেকে পঁচিশজনের নামে সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, হামজা তার বাড়ির সামনে বন্ধু তাওহীদুলের সঙ্গে কথা বলছিলেন। এ সময় পূর্ব শত্রুতার জেরে সোহান রহমান (২৪), আদনান হোসেন (২৩), আমিনুর ইসলাম (২২), আব্দুল্লাহ আলদিন লিখনসহ (২৫) অজ্ঞাত পরিচয়ের ২০-২৫ জন আকস্মিকভাবে তার ওপর হামলা করে। তারা দেশীয় বিভিন্ন ধরনের অস্ত্র দিয়ে হামজাকে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করে। পরে হামজার পরিবার ও স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।

হামজা বলেন, কিছুদিন পরেই জেলা ছাত্রলীগের নতুন কমিটি গঠনে কাউন্সিল হবে। সেখানে আমি সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী হয়েছি। এটা নিয়েই মূলত সমস্যা তৈরি হয়েছে। সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময় হামলার হুমকি দিলেও এবার সরাসরি হামলা করেছে। আমার মাথায় সেলাই দেওয়া হয়েছে। পিঠ এবং হাতে বেশ ক্ষত হয়েছে। যারা আমার ওপর হামলা করেছে তারা মূলত পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি অভিজিৎ সরকারের অনুসারী ও কর্মী।

জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাজিদুল ইসলাম বলেন, হামজার ওপর এমন হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। এ হামলার ঘটনার সঙ্গে যদি কোনো ছাত্রলীগের নেতাকর্মী জড়িত থাকেন তাহলে তার দায়ভার তাকেই নিতে হবে।

তিনি বলেন, ছাত্রলীগ সংগঠনটি অত্যন্ত সুশৃঙ্খল সংগঠন। সংগঠন এমন কর্মকাণ্ডকে কখনোই প্রশ্রয় দেবে না।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিল হোসেন বলেন, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনার তদন্ত চলছে। আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।