৬ শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের ঘটনায় শিক্ষক আটক, এলাকাবাসীর জুতা নিক্ষেপ
পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জে ছয়জন মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দেবীগঞ্জ পৌর সদরের মুন্সীপাড়া এলাকায় অবস্থিত আলহেরা মাদ্রাসা থেকে ঐ শিক্ষককে আটক করা হয়। আটক হাফেজ মাওলানা মুফতি মো. মিজানুর রহমান (৩৮) নীলফামারী সদর উপজেলার গোড়গ্রাম ইউনিয়নের ভবানীগঞ্জ এলাকার লতিফুর রহমানের ছেলে।
পুলিশ, ভুক্তভোগী ছাত্রদের অভিভাবক ও এলাকাবাসী জানান, আলহেরা মাদ্রাসায় আবাসিক ও অনাবাসিক ব্যবস্থায় পাঠদান চালু আছে। ঘটনার দিন (বুধবার) সকালে মাদ্রাসার শিক্ষক মিজানুর রহমানের বিরুদ্ধে ছাত্রদের যৌন নির্যাতনের অভিযোগ পায় কর্তৃপক্ষ। পুলিশকে জানানোর পরিবর্তে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ সেদিনই বিকালে অভিযুক্ত শিক্ষককে চাকরিচ্যুত করে।
বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে অভিভাবক ও স্থানীয়রা ক্ষোভে ফুঁসে উঠেন। মুখ খুলতে শুরু করেন একাধিক শিক্ষার্থী ও অভিভাবক। বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ছয় জন ভুক্তভোগী ছাত্র তাদের উপর হয়ে যাওয়া যৌন নির্যাতনের বর্ণনা দেন পুলিশ ও সাংবাদিকদের কাছে।
সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে মাদ্রাসার একটি কক্ষে লুকিয়ে থাকা ঐ শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এ সময় ক্ষুব্ধ জনতা ঐ শিক্ষককে লক্ষ্য করে জুতা নিক্ষেপ করে।
বুধবার রাতে এ ঘটনায় একজন ভিকটিমের বাবা মাহবুবুর রহমান বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দেবীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সরকার ইফতেখারুল মোকাদ্দেম বলেন, এ ঘটনায় ঐ মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করা হয়েছে। ভিকটিমদের জিজ্ঞাসাবাদে প্রাথমিকভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা দায়ের হয়েছে।