ছাত্রীর ওড়না ধরে টান কলেজ প্রভাষকের, অভিযুক্তের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ
স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি ও জোরপূর্বক উঠিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ও কলেজ প্রভাষকের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুর থানায় মঙ্গলবার মামলা হয়েছে। কিন্তু অভিযুক্তদের নির্দোষ দাবি করে এক প্রভাষকসহ গ্রেপ্তার চার আসামির মুক্তি চেয়ে আজ বুধবার থানা ফটকের সামনে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় কলেজের শিক্ষার্থীরা।
গ্রেপ্তাররা হলেন এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও খামারগ্রাম ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রাশেদ উদ্দিন ভূইয়া, আজিজুল হক হৃদয়, নাজমুল হোসেন রোকন, আশরাফুল ইসলাম। তাঁদের মুক্তির দাবিতে আজ সকালে থানা ঘেরাও করে ফটকের সড়কে বিক্ষোভ করেন ও টায়ারে আগুন জ্বালান স্থানীয় খামারগ্রাম ডিগ্রি কলেজের ছাত্র-ছাত্রীরা। তাঁরা দাবি করেন, গ্রেপ্তার আসামিরা নির্দোষ।
চারজনকে গ্রেপ্তারের বিষয় নিশ্চিত করেন এনায়েতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘৯ম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করা অভিযোগ এনে তার বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারদেরকে আজ দুপুরে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
মামলার এজাহার থেকে জানা গেছে,৯ম শ্রেণির এক ছাত্রী বিদ্যালয়ে যাওয়া-আসার পথে আজিজুল হক হৃদয় নামের এক তরুণ উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি স্কুলছাত্রী বাড়ি ফিরছিল। এ সময় আজিজুল হক হৃদয় স্কুলছাত্রীর হাত ও ওড়না ধরে টানাটানি করেন এবং শ্লীলতাহানি করে ঘটনাস্থলে আটকে রাখেন। ঘটনাটি লোকমুখে শুনে স্কুলছাত্রীর বাবা ঘটনাস্থলে গেলে আসামিরা তাঁর ওপর ক্ষিপ্ত হন। পরে লাঠি সোঁটা নিয়ে হামলা করে স্কুলছাত্রীকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। এই ঘটনায় স্কুলছাত্রীর বাবা থানায় অভিযোগ দেন।
মামলার আসামিরা হলেন এনায়েতপুরের ব্রাহ্মণগ্রাম এলাকার আজিজুল হক হৃদয়, গোপিনাথপুরের নাজমুল হোসেন রোকন, খোকশাবাড়ির আশরাফুল ইসলাম, এনায়েতপুর থানা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ও খামারগ্রাম ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক রাশেদ উদ্দিন ভূইয়া এবং স্থানীয় বাসিন্দা মন্টু, ইব্রাহীম ও রোজিনা খাতুন।
মামলায় ৭ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়। মামলার পর আসামিদের মধ্যে চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রভাষক রাশেদ উদ্দিন ভূইয়া হলেন মামলার অন্যতম আসামি আজিজুল হক হৃদয়ের আত্মীয়।