এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু, ধর্ষণের অভিযোগে কোচিং শিক্ষক গ্রেপ্তার
ঘুমের ওষুধ খেয়ে হাসপাতালে ভর্তির পর চট্টগ্রামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। শিক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা ছিল। কোচিং শিক্ষকের জোরপূর্বক ধর্ষণে এমন হয়েছে উল্লেখ করে পরিবার মামলা করেছে। মামলার পরে অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ।
এসএসসি পরীক্ষার্থীর নাম আদিবা মুস্তাফা। রোববার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
আদিবা নগরের বহদ্দারহাটের ফরিদারপাড়া এলাকায় নিজেদের বাড়িতে থাকত। তার বাবার নাম গোলাম মোস্তফা। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) মো. ছবেদ আলী ও আদিবার চাচা গোলাপ রহমান ও মামা মো. ইকবাল। তাঁরা বলেন, ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পর ১৫ ফেব্রুয়ারি আদিবাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে চিকিৎসাধীন থেকে আজ তার মৃত্যু হয়েছে।
১৫ ফেব্রুয়ারি হাসপাতালে ভর্তির পর আদিবার বাবা গোলাম মোস্তফা চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন। এতে আসামি করা হয় আদিবার কোচিংয়ের শিক্ষক হামিদ মোস্তফাকে। জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অপরাধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলা হয়। মামলার বিষয়ে পুলিশ জানায়, আদিবা অন্তঃসত্ত্বা ছিল। কোচিংয়ের ওই শিক্ষকের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। এ ঘটনায় মামলার পর ১৭ ফেব্রুয়ারি কোচিংয়ের শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়। এক দিনের রিমান্ড শেষে ওই শিক্ষককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা থানার উপপরিদর্শক মো. জসিম উদ্দিন বলেন, ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পর আদিবাকে হাসপাতালে আনা হয়েছিল। সে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে ছিল। তাই জবানবন্দি নেওয়া যায়নি। তবে মামলার তদন্ত চলছে। আদিবার মামা মো. ইকবাল বলেন, ‘ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পর আদিবার বিষয়টি আমরা জানতে পারি। আমরা এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচার চাই।