শহীদ মিনারে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুগ্রুপের সংঘর্ষ
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে উপজেলা ছাত্রলীগের দুপক্ষে হাতাহাতি হয়েছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা ৫ মিনিটে উপজেলা চত্বরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার একটি ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে জেলাজুড়ে নানা আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার অনুসারী রাজৈর উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান মুকিম তার দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিতে যান। একই সময় মাদারীপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য শাজাহান খানের অনুসারী রাজৈর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল মোল্লা ও তার কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে ফুল দিতে শহীদ মিনারের বেদিতে ওঠেন।
এ সময় আগে ফুল দেয়াকে কেন্দ্রে করে জাহিদ হাসান মুকিমের সঙ্গে রবিউল মোল্লার বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে দুগ্রুপের মধ্যে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কি হয়। ব্যাপক হট্টোগোল হলে উপস্থিত আশপাশের অন্য লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় শহীদ মিনারের উপস্থিত থাকা থানা পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
এ বিষয়ে শাজাহান খান এমপির অনুসারী মাদারীপুরের রাজৈর পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল মোল্লা বলেন, ‘আমরা আগে শহীদ মিনারে ফুল দিতে গেলে জাহিদ হাসান মুকিম ও তার লোকজন বাধা দেন। পরে হাতাহাতি ও ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটে।’
মাদারীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ মোল্লার অনুসারী রাজৈর উপজেলার ছাত্রলীগের সভাপতি জাহিদ হাসান মুকিম বলেন, ‘শাজাহান খান এমপির অনুসারীর কিছু লোকজন প্রথমে শহীদ মিনারে আমাদের ফুল দিতে বাধার সৃষ্টি করেন। পরে হট্টোগোল শুরু হলে তাদের সঙ্গে ধাক্কাধাক্কি হয়।’
মাদারীপুরের রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আসাদুজ্জামান হাওলাদার আজাদ জানান, ফুল দেয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে, এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি। এ ব্যাপারে কেউ এখনো অভিযোগও করেননি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।