আওয়ামী লীগ নেতাকে পিটিয়ে মেরে ফেলল ছাত্রলীগ নেতা
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রেজভী কবির বিন্দু ও তার সহযোগীদের মারধরে শরিফুল ইসলাম সোহান নামের এক আওয়ামী লীগ নেতার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আহত শরিফুল ইসলাম সোহানকে কুড়িগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করেন।
শরিফুল ইসলাম সোহান পৌর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ছিলেন। তিনি ঘোষপাড়া হাটিরপাড় এলাকার মৃত আমজাদ হোসেন বুলুর ছেলে। জেলা মোটর মালিক সমিতির সদস্য ছিলেন এই আওয়ামী লীগ নেতা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শহরের অভিনন্দন কনভেনশন সেন্টারের সামনে সন্ধ্যার দিকে একটি জিপ গাড়ি দাঁড়িয়ে ছিল। এসময় সদর উপজেলা ছাত্রলীগের দুই নেতা সিয়াম ও রিয়াদ দ্রুতগতিতে মোটরসাইকেল চালিয়ে আসার সময় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে জিপ গাড়িটির পাশে পড়ে গিয়ে আহত হন।
জিপ গাড়িতে থাকা শরিফুল ইসলাম সোহানসহ অপর দুইজন আহতদের হাসপাতালে পাঠান। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ও তার সহযোগীরা ঘটনাস্থলে এসে জিপে থাকা শরিফুল ইসলাম সোহানকে মারধর করেন।
পরে শরিফুল ইসলাম সোহান গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে ওই জিপ গাড়িতে করে ছাত্রলীগ নেতারা হাসপাতালে নিলে যান। সেখানে চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম সোহানকে মৃত ঘোষণা করেন।
কুড়িগ্রাম জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ব্যক্তিগত কাজে আমি ঢাকায় রয়েছি। ঘটনা জেনেছি। বিন্দুর সাথে একবার কথা হয়েছে। সে নিজের দায় অস্বীকার করেছে। এ ঘটনায় বিন্দু কিংবা ছাত্রলীগের কোনো নেতাকর্মীর সংশ্লিষ্টতা থাকলে তাদের বিরুদ্ধে নিয়মিত আইনানুগ ব্যবস্থাসহ সাংগঠনিক ব্যবস্থাও নেয়া হবে।
কুড়িগ্রাম জেলা জাতীয় শ্রমিকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হারাধন ঘোষ বলেন, নিহত সোহান আমার প্রতিবেশী। সে অত্যন্ত ভদ্র ও শান্তিপ্রিয় ছিল। হত্যার ঘটনাটি অত্যন্ত নিন্দনীয়। হত্যার সঙ্গে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানাই।