০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১৭:২২

সুবর্ণচরে নারীকে গণধর্ষণ: মামলার রায়ের তারিখ নিয়ে যা জানা গেল

  © সংগৃহীত

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পছন্দের দলকে ভোট দেওয়ায় দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন নোয়াখালীর সুবর্ণচরের এক নারী। চরজুবিলী ইউনিয়নের স্থানীয় ইউপি সদস্য রুহুল আমিনের নেতৃত্বে একটি দল ধর্ষণ করছিল তাঁকে। আগামীকাল সোমবার আলোচিত এই মামলার রায় দেওয়া হবে। 

ধর্ষণের শিকার নারী ন্যায় বিচার পাবেন বলে আশা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা সরকার একজন নারী, আমিও একজন নারী। আমার যেমন মানসম্মান সরকারেরও তেমন মানসম্মান। আমার বিশ্বাস আছে, আমি ন্যায় বিচার পাব। সরকার বলছে, ন্যায় বিচার করবে, আইনের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে। আসামিদের উপযুক্ত শাস্তি হবে, ন্যায় বিচার হবে।’ 

আগামীকাল সোমবার নোয়াখালী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা জজ) ফাতেমা ফেরদৌস মামলাটির রায় ঘোষণার কথা রয়েছে। এর আগে গত ১৬ জানুয়ারি মামলাটির রায় ঘোষণা করার কথা থাকলেও মামলার রায় লেখার কাজ শেষ না হওয়ায় তারিখ পিছিয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি পুনঃনির্ধারণ করা হয়। 

আদালতের স্টেনোগ্রাফার মো. সামছুদ্দিন বলেন, আলোচিত ওই মামলাটির রায় ঘোষণার পূর্ববর্তী সকল কাজ এরই মধ্যে শেষ হয়েছে। তাই নির্ধারিত তারিখে অর্থাৎ আগামীকাল সোমবার রায় ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, গত ২৯ নভেম্বর অধিকতর যুক্তিতর্ক শেষে ১৬ জানুয়ারি রায় ঘোষণার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু রায় লেখার কাজ শেষ না হওয়ায় সেদিন রায় ঘোষণা করা হয়নি। রায় ঘোষণার পরবর্তী তারিখ ৫ ফেব্রুয়ারি নির্ধারণ করা হয়। 

২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রাতে স্বামী-সন্তানদের বেঁধে রেখে এক নারীকে (৪০) মারধর ও গণধর্ষণ করা হয়। নির্যাতনের শিকার নারী চার সন্তানের জননী। নির্যাতিত নারীর অভিযোগ ছিল, ভোটকেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের পছন্দের প্রতীকে ভোট না দেওয়ার জেরে ওই হামলা ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঘটনাটি তখন দেশ-বিদেশে ব্যাপক আলোচিত হয়। ওই ঘটনার পরদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর নির্যাতনের শিকার নারীর স্বামী বাদী হয়ে চরজব্বর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। পরে মামলার তদন্ত শেষে সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিষ্কার হওয়া প্রচার সম্পাদক রুহুল আমিন মেম্বারসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে গত ২০১৯ সালের ২৭ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।