জাল সনদে চাকরি, জামিন চাইতে গিয়ে কারাগারে শিক্ষক
বরিশালের বানারীপাড়া উপেজেলায় জাল সনদে চাকরি করার মামলায় বরখাস্ত এক প্রধান শিক্ষকের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। রোববার দুপুরে বরিশালের মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতের বিচারক মহিবুল হাসান এ আদেশ দেন বলে আদালতের বেঞ্চ সহকারী নাসির খান জানান।
আসামি ৪৮ বছর বয়সী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন বানারীপাড়া উপজেলার আউয়ার গ্রামের আছমত আলী খানের ছেলে এবং ওই এলাকার সৈয়দ বজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন।
নাসির খান বলেন, জাহাঙ্গীর আদালতে হাজির হয়ে জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর আবেদন করেন। এ সময় বিচারক তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
মামলার বরাতে তিনি বলেন, জাহাঙ্গীর ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর সৈয়দ বজলুল হক মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। পরে তার বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সন্দেহ হওয়ায় স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি তারিকুল ইসলাম খান জাহাঙ্গীরের সনদ পরীক্ষা করেন। এ সময় চাকরিতে যোগদানের সময় তার দাখিল করা বিএ, এমএ ও এমএড পরীক্ষায় উত্তীর্ন সনদ নিয়ে সন্দেহ তৈরি হলে তদন্তের জন্য কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্তে জাহাঙ্গীরের ঢাকার রয়েল ইউনিভার্সিটির এমএ এবং দারুল ইহসান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএড ও এমএড পরীক্ষার সনদ জাল বলে প্রমাণ পাওয়া যায়। এর প্রেক্ষিতে ২০২০ সালের ২০ সেপ্টেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর তারিকুল আদালতে মামলা করেন।