১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১০:৩২

আজ প্রতিরোধ দিবস: আত্মহত্যা ঝুকিতে ৬৫ লাখ মানুষ!

আত্মহত্যা বা আত্মহনন মূলত ইচ্ছাকৃত নিজের জীবন বিসর্জন দেয়ার প্রক্রিয়া। ল্যাটিন ভাষায় সুই সেইডেয়ার থেকে আত্মহত্যা শব্দটি এসেছে, যার অর্থ হচ্ছে নিজেকে হত্যা করা। চিকিৎসকরা বলছেন, দেশে আত্মহত্যাকারীদের ৯৫ শতাংশই মানসিক রোগে ভূগছেন। আর সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, সারাদেশের অন্তত ৬৫ লাখ মানুষ আত্মহত্যার ঝুঁকিতে রয়েছেন। অথচ এই রোগ প্রতিরোধে যথেষ্ট মানসিক চিকিৎসালয় ও কাউন্সিলিং সেন্টার আমাদের দেশে নেই। তাছাড়া মানসিক রোগের চিকিৎসকের সংখ্যাও অনেক কম।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সারাদেশে কেবল ২২টি মেডিক্যাল কলেজ, জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট ও পাবনায় মানসিক রোগের চিকিৎসা হয়। আর পুরনো আটটি মেডিক্যাল কলেজের একটিতেও এ বিষয়ের অধ্যাপক নেই। ফলে এ সংক্রান্ত সেবা বিঘ্নিত হচ্ছে।

মূলত এসব বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই সারাবিশ্বের মত বাংলাদেশেও আজ বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস পালিত হবে। এ বছর দিবসটির মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে- ‘আত্মহত্যা প্রতিরোধে একযোগে কাজ।’

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, প্রতিবছর প্রায় দশ লক্ষ মানুষ আত্মহত্যা করছ। তাছাড়া সারা বিশ্বে যেসব কারণে মানুষের মৃত্যু ঘটে; তার মধ্যে আত্মহত্যা হলো ত্রয়োদশতম প্রধান কারণ। মূলত কিশোর-কিশোরী থেকে শুরু করে যাদের বয়স পঁয়ত্রিশ বছরের নিচে; তাদেরই মৃত্যুর প্রধান কারণ আত্মহত্যা। এক গবেষণা বলছে, নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার হার অনেক বেশি। পুরুষদের আত্মহত্যা করার প্রবণতা নারীদের তুলনায় তিন থেকে চার গুণ।

নারীদের তুলনায় পুরুষদের মধ্যে আত্মহত্যার হার অনেক বেশি। পুরুষদের আত্মহত্যা করার প্রবণতা নারীদের তুলনায় তিন থেকে চার গুণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, মাদকসেবন বেড়ে যাওয়া, কর্মসংস্থানের অভাব, পারিবারিক কলহ, নির্যাতন, ভালোবাসায় ব্যর্থতা, পরীক্ষায় অকৃতকার্য, বেকারত্ব, যৌন নির্যাতন, অপ্রত্যাশিত গর্ভধারণসহ বিভিন্ন কারণে আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়ছে। আর এই মানসিক ব্যাধি রোধে আজ পালিত হবে বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস।

এ বিষয়ে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ঢাবি ক্যাম্পাসে আজ বিশেষ এক দৌড়ের আয়োজন করা হয়। ৫ কিলোমিটারের এ দৌড় সকাল ৬টায় অপরাজেয় বাংলা প্রাঙ্গণ থেকে শুরু হয়। এতে বিভিন্ন বয়স এবং শ্রেণি-পেশার মোট ২৫০ রানার অংশ নেন। যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন শিকদার অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি এবং ঢাবির সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে রানারদের মাঝে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন।