ভারত-পাকিস্তানিদের সঙ্গে মিলে প্রতারণা, দুই শিক্ষার্থী গ্রেপ্তার
প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ হাতানোর ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগের রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজ ও হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। প্রতারণার শিকার ব্যক্তির দায়ের করা মামলার তদন্তে নেমে ঢাকা মহনগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগ গত ২০ ডিসেম্বর তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তার হাবিবুল্লাহ বাহার কলেজের বিবিএ তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মো. টিপু সুলতান (২৭) এবং সরকারি তিতুমীর কলেজের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের স্নাতকের শিক্ষার্থী মো. মোসলেম রানা (২৮)।
ঢাকা মহনগর গোয়েন্দা পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম (দক্ষিণ) বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার সাইফুর রহমান আজাদ জানিয়েছেন, এ দুই ছাত্র পাকিস্তান-ভারতের প্রতারক চক্রের বাংলাদেশি এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন।
ডিবির সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের (দক্ষিণ) ফিন্যান্সিয়াল অ্যান্ড সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের ইনচার্জ এডিসি মো. সাইফুর রহমানের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। রোববার (২৪ ডিসেম্বর) দুপুরে মিন্টো রোডে নিজ কার্যালয়ে এ তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
অতিরিক্ত কমিশনার সাইফুর রহমান আজাদ বলেন, এই প্রতারক চক্রের মূল হোতা শাকিল নামের একজন ভারতীয় নাগরিক, আর পারভেজ নামের একজন হচ্ছেন পাকিস্তানী এজেন্ট।
তিনি জানান, গত ১৯ ডিসেম্বর শাহবাগ থানায় পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে করা একটি মামলার তদন্ত করতে গিয়ে বাংলাদেশি দুইজনকে গ্রেপ্তারের পর ভারত-পাকিস্তানের প্রতারকচক্রের খোঁজ মেলে। বাংলাদেশি চক্ররা ভুক্তভোগীর কাছ থেকে টাকা পাওয়ার পর তার একটি নিদিষ্ট অংশ রেখে বাকি টাকা বাইন্যান্স ওয়ালেট দিয়ে বিদেশি প্রতারকদের পাঠিয়ে দেন।
প্রতারণার এই কৌশলকে ‘হানি ট্র্যাপ’ বলা হয় জানিয়ে তিনি বলেন, তারা উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্ত, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছাত্র, এমন ব্যক্তিদের টার্গেট করে তাদের সঙ্গে ভিডিও কলে কথা বলত। এক পর্যায়ে তাদের অজান্তে অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ছবি ও ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেসব ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ‘ব্ল্যাকমেইল’ করে অর্থ হাতিয়ে নিত।