বিয়ে ঠিক হওয়ায় প্রেমিকাকে ধর্ষণ, বাড়িতে ডাকাতি
খুলনার কৈয়া বাজার এলাকায় মা-বাবাকে অচেতন করে প্রেমিকাকে (২৯) ধর্ষণের পর ঐ বাড়ি থেকে প্রায় ৩ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার ডাকাতির অভিযোগ উঠেছে প্রেমিক গোবিন্দ ফৌজদারসহ ২ জনের বিরুদ্ধে। মেয়েটির অন্য জায়গায় বিয়ে ঠিক হয়ে যাওয়ায় গোবিন্দ কৌশলে এ কাজ করেছেন বলে ধারণা করছে পুলিশ। সোমবার (১১ ডিসেম্বর) রাত দুইটা থেকে চারটার মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। মঙ্গলবার দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন অভিযুক্তদের একজন।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাত অনুমান ২টা থেকে ভোর ৪টার মধ্যে হরিণটানা থানাধীন ঘোলা গ্রামের একটি বাড়িতে তিন জন অজ্ঞাত ব্যক্তি দস্যুতা ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণসহ স্বর্ণালংকার লুণ্ঠন করে। ধর্ষণের শিকার তরুণীকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়েছে। তার তথ্যানুযায়ী পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার তিন জনকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— জেলার ডুমুরিয়া থানাধীন এলাকার বাসিন্দা গোবিন্দ ফৌজদার (৩০), বটিয়াঘাটার মিঠুন বিশ্বাস (৩৫) ও ডুমুরিয়ার ধীমান ফৌজদার (৩৫)। এসময় লুট করা স্বর্ণালঙ্কারও উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার বাদী উদ্ধারকৃত মালামাল শনাক্ত করেছেন।
আরও পড়ুন: মোবাইলে ডেকে নিয়ে তরুণীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রেমিকসহ গ্রেপ্তার ২
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সোমবার রাত ২টার পর কোনো এক সময়ে গেটের গ্রিল ভেঙে ওই বাড়িতে ডাকাতির জন্য প্রবেশ করেন তিন ব্যক্তি। এ সময় তারা চেতনানাশক স্প্রে করে মেয়েটির বাবা ও মাকে অচেতন করে ফেলেন। পরে মেয়েটিকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। ডাকাত দল প্রায় ৩ লাখ টাকা ও ১০ ভরি স্বর্ণালংকার লুট করে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। যাওয়ার সময় বাইরে থেকে দরজায় তালা লাগিয়ে চলে যায় তারা।
ওসি বলেন, মেয়েটির দেওয়া তথ্যানুযায়ী অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার ধর্ষক গোবিন্দকে আটক করা হয়। মেয়েটির বাবা গোবিন্দকে প্রধান আসামি করে ও অজ্ঞাত দুজনকে আসামি করে হরিণটানা থানায় মামলা করেন। এরপর গোবিন্দর স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ধীমান ও মিঠুনকে আটক করা হয়। তাদের কাছে লুণ্ঠিত স্বর্ণালংকার পাওয়া যায়। তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়। সন্ধ্যায় গোবিন্দ আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।