শিক্ষিকার সঙ্গে ‘ব্রেক আপে’র জেরে গলায় ফাঁস নিলেন ছাত্র
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে ভাড়া বাড়ি থেকে এক ছাত্রের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার দিকে পৌরসভার সেরকান্দি এলাকার বাড়ি থেকে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কুষ্টিয়া পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের চতুর্থ সেমিস্টারে অধ্যয়নরত ওই ছাত্রের নাম সাগর চন্দ্র বিশ্বাস (২২)। তিনি সদকী ইউনিয়নের দড়ি মালিয়াট গ্রামের মনোরঞ্জন বিশ্বাসের ছেলে। পরিবারের অভিযোগ, শিক্ষিকার সঙ্গে প্রেমে ব্যর্থ হয়েই সাগর আত্মহত্যা করেছে।
সাগরের মা জানান, পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের এক ম্যাডামের সঙ্গে তার ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বনিবনা না হওয়ায় সম্প্রতি সে সম্পর্ক ভেঙে যায়। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে সাগর মানসিক রোগী হয়ে যান। সে জন্য তিনি কয়েকবার কলেজে গিয়ে ম্যাডামকে অনুরোধ করে সম্পর্ক ঠিক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু কোনো ফল হয়নি।
তিনি আরও জানান, ঘুমের ওষুধ খাওয়ার কারণে সাগর প্রতিদিন বিকেলে ঘুম থেকে উঠতেন। আজ বিকেলে ঘুম থেকে না উঠলে তিনি প্রথমে ডাকাডাকি করেন। সাগরের মোবাইল ফোনে কল দিয়ে ঘুম ভাঙানোর চেষ্টা করেন। তাতেও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে দেখেন সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় সাগর ঝুলছেন। ম্যাডামের সঙ্গে প্রেমের বিচ্ছেদ সইতে না পেরে সাগর গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছেন বলে দাবি করেন তার মা।
সাগরের এক বন্ধু বলেন, ম্যাডামের সঙ্গে সাগরের গভীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ফেসবুকে দুজনের ছবিও পোস্ট দেওয়া হতো। কয়েক মাস আগে তাদের সম্পর্কের অবনতি হলে সাগর ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করত। অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ খেয়েই সাগর মানসিক রোগী হয়ে গিয়েছিল।’
এ ব্যাপারে কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আকিবুল ইসলাম বলেন, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।