০৮ ডিসেম্বর ২০২৩, ২২:৩০

শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতি, ৮ জেলায় আটক ১১৮

আটক হওয়াদের পরিসংখ্যান  © টিডিসি ফটো

প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ৮ জেলার বিভিন্ন কেন্দ্র ও এলাকা জায়গা থেকে মোট ১১৮ জনকে আটক করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তাদের কাছ থেকে বেশকিছু মোবাইল ফোন ও ডিভাইসসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম জব্দ করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) পরীক্ষার আগে ও পরীক্ষাচলাকালী সময়ে এবং এর আগে তাদেরকে আটক করা হয়।

জানা যায়, আজ সকাল ১০টায় শুরু হওয়া এক ঘণ্টার লিখিত পরীক্ষা (এমসিকিউ টাইপ) চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। প্রথম ধাপে রংপুর, সিলেট এবং বরিশাল বিভাগের ১৮ জেলায় একযোগে পরীক্ষার হলে বসেন চাকরিপ্রার্থীরা। প্রথম ধাপের পরীক্ষায় অংশ নিতে আবেদন করেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন চাকরিপ্রার্থী।

প্রথম ধাপের পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত গাইবান্ধায় ৩৭, রংপুরে ১৯, দিনাজপুরে ১৮ জন, লালমনিরহাটে ১৩ জন, কুড়িগ্রামে ১২ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে ৯ জন, পঞ্চগড়ে ৭ জন এবং নীলফামারীতে ৩ জনকে আটক করা হয়।

গাইবান্ধায় ৩৭ জন আটক
গাইবান্ধায় জালিয়াতিতে জড়িত পরীক্ষার্থী ও জালিয়াতি চক্রের সদস্যদের আটকের পর আজ বেলা সাড়ে তিনটায় জেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে সংবাদ ব্রিফিং করে র‍্যাব। র‍্যাব-১৩-এর কমান্ডার আরাফাত ইসলাম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পরীক্ষা চলাকালে র‍্যাব-১৩ গাইবান্ধা ক্যাম্পের একটি দল বিভিন্ন কেন্দ্রে অভিযান চালায়। এ সময় পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে জালিয়াতি চক্রের ৫ মূল হোতা ও ৩২ জন পরীক্ষার্থীকে ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ হাতেনাতে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ২৪টি মাস্টার কার্ড, ২০টি ব্লুটুথ ডিভাইস, ১৭টি মুঠোফোন, স্ট্যাম্পসহ ব্যাংক চেক জব্দ করা হয়।

আটক মূল হোতারা হলেন মারুফ, মুন্না, সোহেল, নজরুল ও সোহাগ। তাঁদের সবার বাড়ি গাইবান্ধার বিভিন্ন এলাকায়। তাঁরা বিভিন্ন পরীক্ষার্থীকে ১৪ থেকে ১৮ লাখ টাকায় চাকরি পাইয়ে দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে আসছিলেন। আটক পরীক্ষার্থীদের নাম–পরিচয় জানানো হয়নি।

ব্রিফিংয়ে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পরীক্ষার্থীরা জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার স্বীকার করেছেন। তাঁরা বিভিন্ন নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিকস ডিভাইস ব্যবহার করে সুকৌশলে পরীক্ষা দিয়ে আসছিলেন। এ ঘটনায় জড়িত চক্রের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান চলছে। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।

রংপুরে ১৯ জন আটক
আজ সকালে রংপুর মহানগরের বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র ও এলাকা থেকে পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ১৯ জনকে আটক করে পুলিশ। দুপুর ১২টায় রংপুর মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান এসব তথ্য জানান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, নিয়োগ পরীক্ষায় ‘বিটু এক্স ডিভাইস’ ব্যবহার করে পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্রের উত্তর দেওয়ার চুক্তি করা হয়। চুক্তি অনুযায়ী প্রস্তুতির প্রাক্কালে পরীক্ষার আগের রাতে ও সকালে রংপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে ১৯ জনকে আটক করা হয়েছে। আটক ব্যক্তিদের মধ্যে ১১ জন পরীক্ষার্থী, তাঁদের আটজনই নারী। বাকিরা কলেজশিক্ষকসহ বিভিন্ন পেশায় জড়িত। আটক পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর আগেই পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ডিভাইসসহ আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে ১১টি ডিভাইস, ৮০টি ফোন ও প্রবেশপত্র জব্দ করা হয়। তবে আটক ব্যক্তিদের নাম জানানো হয়নি।

পুলিশ কমিশনার মো. মনিরুজ্জামান বলেন, একটি অসাধু চক্র ডিজিটাল ডিভাইসের অপব্যবহার করে জালিয়াতি কাজের সঙ্গে জড়িত। পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিভাইস জালিয়াতি চক্রটিকে পরীক্ষার আগের রাতে, সকালে ও পরীক্ষা শুরুর আগেই কেন্দ্র থেকে আটক করেছে। তাঁদের আটক করায় চক্রটি প্রশ্নপত্র ফাঁস করতে পারেনি বলে তিনি দাবি করেন। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর রংপুর বিভাগের উপপরিচালক মুজাহিদুল ইসলাম বলেন, পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে অনুষ্ঠানের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

দিনাজপুর ১৮ জন আটক
ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহারের অভিযোগে দিনাজপুরে ১৮ পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত জেলা সদরের ৮টি পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়। 

আটকরা হলেন- জেলার বিরল উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের আজহারুল ইসলামের ছেলে মো. কামরুজ্জামান (৩২), একই উপজেলার রানীপুর গ্রামের আবুল কাদেরের স্ত্রী রাহেনা খাতুন (২৬), বীরগঞ্জ উপজেলার এলেঙ্গা গ্রামের প্রদীপ রায়ের স্ত্রী শেফালী রায় (৩৩), একই উপজেলার পশ্চিম কালাপুকুর গ্রামের তাশদিকুল আলমের ছেলে মো. মনিরুজ্জামান (৩০), কগিরপাড়ার সিরাজুল ইসলামের ছেলে জামিল বাদশা (৩১) ও বনগাঁও গ্রামের শফিকুল ইসলামের ছেলে রাকিব (২৮), দিনাজপুর সদর উপজেলার মুরাদপর গ্রামের বেলাল হোসেনের স্ত্রী মুসলিমা খাতুন (২৮), একই উপজেলার দাইনুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে শরিফুল আলম (২৮), ঘুঘুডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল সালামের মেয়ে উম্মে সালমা (২৮) ও খানপুর গ্রামের সুলতান মাহমুদের মেয়ে নাসরিন জাহান (২৯), চিরিরবন্দর উপজেলার দক্ষিণ আলোকদিঘী গ্রামের সবুজ চন্দ্র রায়ের কবিতা রানী রায় (২৭), একই উপজেলার দক্ষিণ আলোকদিঘী গ্রামের যতিশ চন্দ্র রায়ের ছেলে সবজ চন্দ্র রায় (৩৪), হাকিমপুর উপজেলার মাধবপাড়ার গোলাম বিকরিয়ার স্ত্রী জাকিয়া ফেরদৌস (২৬), বিরামপুর উপজেলার দক্ষিণ দায়োরপুর গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে মহিদুল ইসলাম (৩২), নবাবগঞ্জ উপজেলার মতিহারা গ্রামের আবু তালেব সরকারের কন্যা তানিয়া মোশতাবী (৩১), বোচাগঞ্জ উপজেলার শহিদপাড়ার আব্দুল গফুর মোল্লার ছেলে সায়েম মোল্লা তন্ময় (২৯), ফরিদপুর জেলার নগরবান্দা থানার দফা গ্রামের ফারুক মাতব্বরের মেয়ে উর্মিলা আক্তার (২০) ও ঠাকুরগাঁও জেলার হরিপুর উপজেলার বকুয়া গ্রামের আশরাফুল ইসলামের ছেলে সুজন আলী (২৭)।  

এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন কোতয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফরিদ হোসেন।  তিনি বলেন, শুক্রবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের ৮টি পরীক্ষাকেন্দ্রে কর্মকর্তারা ১৮ জনকে ইলেক্ট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে আটক করে। পরে তাদেরকে পুলিশে কাছে সোপর্দ করে। আটক ১৮ জনের মধ্যে ৯ জন নারী ও ৯ জন পুরুষ রয়েছেন।  এ ব্যাপারে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।  

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) পরীক্ষার্থীকে ইলেকট্রনিক ডিভাইসের মাধ্যমে উত্তরপত্র সরবরাহের পরিকল্পনা করা সম্রাট (২৬) ও আবুল কালাম আজাদ (২৮) নামে দুই প্রতারককে আটক করে পার্বতীপুর মডেল থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন ধরনের ইলেকট্রনিকস ডিভাইস উদ্ধার করা হয়।

লালমনিরহাটে ১৩ জন
লালমনিরহাটে প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে ১৩ জনকে আটকের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আটককৃতরা হলেন- লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার পশ্চিম বেজগ্রামের আশিক সিদ্দিকী, জাওরানী গ্রামের পরঞ্জন রায়, নাজমুন নাহার, পূর্ব সারডুবি গ্রামের রবিউল ইসলাম, পার শেখ সুন্দর গ্রামের সাহেরা খাতুন, উত্তর জাওরানী গ্রামের লাভলী খাতুন, পাটগ্রাম উপজেলার রহিমপাড়া এলাকার আফরিন আক্তার, কালীগঞ্জ উপজেলার বৈরাতী গ্রামের রাফিয়া সুলতানা, রুদ্রেশ্বর গ্রামের খাদিজা খাতুন, আদিতমারী উপজেলার সরলখাঁ গ্রামের তৃপ্তী রানী, নামুড়ি গ্রামের সোহাগী বেগম, গোবর্দ্ধন গ্রামের মাহাবুবা রায়হানা ও সদর উপজেলার আদর্শপাড়ার তুলি রানী রায়।

লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক জানান, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে লিখিত পরীক্ষা সকাল ১০টায় অনুষ্ঠিত হয়। পরীক্ষা চলাকালীন কয়েকটি কেন্দ্রে ইলেকট্রনিকস ডিভাইসসহ নানা উপায়ে অসদুপায় অবলম্বনের অভিযোগে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা ১৩ জনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। পরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

কুড়িগ্রামে আটক ১২ জন
জেলায় প্রক্সি ও ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে জালিয়াতি করে পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে ১২ জন পরীক্ষার্থীকে আটক এবং ৩ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বেশি ভাগই নারী পরিক্ষার্থী বলে জানা গেছে। শুক্রবার বিকালে এ তথ্য জানিয়েছে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নবেজ উদ্দিন সরকার।

জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় কুড়িগ্রামে ৪৫টি কেন্দ্রে মোট পরীক্ষার্থী ছিল ২৬ হাজার ৮০৫ জন। এর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ২০ হাজার ৭১ জন এবং পরীক্ষায় অনুপস্থিত ৬ হাজার ৭৩৪ জন।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নবেজ উদ্দিন সরকার জানান, আমাদের প্রত্যেকটি কেন্দ্রে নির্বাহী ম্যজিষ্ট্রেটসহ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের পর্যবেক্ষণে অপকর্মকারীদের বহিস্কারসহ আটক করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাঈদুল আরীফ জানান, এতো স্বচ্ছতার সঙ্গে পরীক্ষা নেয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করা হলেও ১২ জন পরীক্ষার্থী অসদুপায় অবলম্বন করেছে যা অত্যন্ত দু:খজনক। এসব অপরাধীদের বহিস্কার ও আটক করে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।

ঠাকুরগাঁওয়ে ৯ জন আটক
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বিভিন্ন পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে ইলেকট্রনিকস ডিভাইস, বহুনির্বাচনী প্রশ্নের উত্তরপত্রসহ (ওএমআর) ৯ পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে থানা–পুলিশের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।

আটক পরীক্ষার্থীরা হলেন ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মধুপুর গ্রামের রোজিনা খাতুন; রানীশৈংকল উপজেলার আলশিয়া গ্রামের সোহানুর রহমান, বাজেবকশা গ্রামের টংক নাথ বর্মণ, আবদুল্লাহ আল-মামুন ও মনিরুল ইসলাম; পীরগঞ্জ উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মোছা. আর্জিনা, পাটুয়াপাড়া গ্রামের ওমর ফারুক; বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার হরিনমারী গ্রামের হাসনাহেনা ও আলেকসিপি গ্রামের আনোয়ার খালেদ।

পঞ্চগড়ে ৭ জন আটক
পঞ্চগড়ে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার ও বদলি হিসেবে পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার অভিযোগে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত শহরের ছয়টি পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে জালিয়াতি করে পরীক্ষা দেওয়ার অভিযোগে তাদের আটক করা হয়। 

আটককৃতরা হলেন- মকবুলার রহমান সরকারি কলেজ কেন্দ্র থেকে রাবেয়া সুলতানা, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার কলেজ কেন্দ্র থেকে মাসুমা বেগম মনিরা, জগদল উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ভাস্কর রায়, খানপুকুর খোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে মুস্তাফিজুর রহমান, জেলা প্রাথমিক শিক্ষক প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিটিউট কেন্দ্র থেকে কানে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের অভিযোগে উম্মে সুবাহ সাদিয়া, খানপুকুর খোলাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র থেকে মোবাইল ব্যবহারের অভিযোগে কবির হোসেন ও পঞ্চগড় নুরুল আলা নূর কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে বদলি পরীক্ষা দেওয়ার অপরাধে নুরুজ্জামানকে আটক করা হয়।

নীলফামারীতে ৩ জন আটক
নীলফামারীর সৈয়দপুরে ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার করে পরীক্ষা দেওয়ার সময় ৩ পরীক্ষার্থীকে আটক করেছে পুলিশ। সকালে পরীক্ষা চলাকালে সৈয়দপুর সরকারি বিজ্ঞান কলেজ, কয়া গোলাহাট স্কুল অ্যান্ড কলেজ ও সৈয়দপুর পাইলট বালিকা উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজকেন্দ্র থেকে তাঁদের আটক করা হয়।

সৈয়দপুর থানা-পুলিশ জানায়, তিন পরীক্ষার্থী ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও মোবাইল ব্যবহার করে পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে রংপুর মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা বিষয়টি জানতে পেরে কেন্দ্রসচিবকে জানান। কেন্দ্রসচিব তাঁদের কেন্দ্রে কর্তব্যরত পুলিশের হাতে তুলে দেন।

আটক পরীক্ষার্থীরা হলেন নীলফামারী সদর উপজেলার কচুকাটা এলাকার আপন চন্দ্রের ছেলে তমাল চন্দ্র (২৫), একই উপজেলার পঞ্চপুকুর এলাকার হামিদুল ইসলামের মেয়ে রাফিয়া আকতার (২৩) ও ডিমলা উপজেলার পূর্ব খড়িবাড়ী গ্রামের মুসা মিয়ার ছেলে ওমর ফারুক (২৭)।

সৈয়দপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম কেন্দ্র থেকে তিন পরীক্ষার্থী আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আটক পরীক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।