শাহবাগে ছাত্রলীগ নেতার সঙ্গে তর্কাতর্কি, ফাঁকা গুলি ছুড়লেন আ.লীগ নেতা

রাজধানীর শাহবাগে এই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়েন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মোশাররফ হোসেন
রাজধানীর শাহবাগে এই আগ্নেয়াস্ত্র দিয়ে গুলি ছোড়েন স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সৈয়দ মোশাররফ হোসেন  © সংগৃহীত

রাজধানীর শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেটে রসনা বিলাস হোটেল অ্যান্ড রেস্টুরেন্টে কর্মচারী ও মালিকের বিবাদকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মীর সঙ্গে তর্কাতর্কি করে পিস্তল বের করে ফাঁকা গুলি ছোড়েছেন আওয়ামী লীগের স্থানীয় একজন নেতা। তিনি শাহবাগ থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ মোশাররফ হোসেন।

গত সোমবার রাতে হোটেলের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর শাহবাগ থানায় দুই পক্ষের বক্তব্য শুনে অস্ত্রটি হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি।

জানা যায়, গত শুক্রবার হোটেলের মালিক লিটন কর্মচারী শারফিন মিয়ার বিরুদ্ধে টাকা চুরির অভিযোগ তুলে মারধর করেন। তাকে বাঁচাতে গিয়ে মো. ইফতি নামের আরেক কর্মচারীকেও মারধর করা হয়। পরে দু’জনকে চাকরিচ্যুত করা হয়। এ ঘটনায় শারফিন মিয়া পরিচিত কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সজীবকে জানান। দু’জনের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায়। শারফিন মিয়া শাহবাগ থানায়ও অভিযোগ দেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইফতেখার আহমেদ সজীব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতাকর্মী ও শাহবাগের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জাকিরকে নিয়ে সোমবার রাতে ওই হোটেলে যান। এ সময় মোশাররফ হোসেন সেখানে আসেন এবং ছাত্রলীগ নেতাদের সঙ্গে তর্কাতর্কিতে জড়ান। এক পর্যায়ে তিনি পিস্তল বের করে পরপর দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে গুলির খোসা উদ্ধার করে।

পরে স্থানীয় ২১ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আসাদুজ্জামানসহ শাহবাগ থানার পুলিশের সঙ্গে আলোচনা করে বিষয়টির সমাধান করা হয়। এ বিষয়ে আসাদুজ্জামান বলেন, মোশারফ হোসেন ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। হামলা থেকে আত্মরক্ষার জন্য তিনি গুলি ছোড়েন বলে দাবি করেছেন। তাই পুলিশ তার অস্ত্রটি জব্দ করে রেখেছে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী সজীব বলেন, আমার এলাকার এক ছোট ভাই ওই হোটেলে চাকরি করতেন। তাকে মারধর করার পর গত সোমবার রাতে সেখানে গেলে তর্কাতর্কি হয়। এক পর্যায়ে আওয়ামী লীগের ওই পিস্তল বের করে দুটি ফাঁকা গুলি ছোড়েন।

তবে মোশাররফ হোসেন গুলি ছোড়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, হোটেলের কর্মচারীর পক্ষ হয়ে কিছু ছাত্র এসে আরেক কর্মচারীকে মারধর করেছে৷পরে শাহবাগ থানায় ডেকে নিয়ে পুলিশ এটি মীমাংসা করে দিয়েছে। আমার বৈধ অস্ত্র আছে। তবে আমি কোনো গুলি ছুড়িনি।

শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূর মোহাম্মদ বলেন, মোশাররফ হোসেনের কাছে থাকা পিস্তলটি লাইসেন্সকৃত বৈধ পিস্তল। ওই ঝামেলায় তিনি সম্ভবত দুটি গুলি ছোড়েন তিনি। মোশাররফ হোসেনের পিস্তলটি পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় এখনও কেউ অভিযোগ করেনি।


সর্বশেষ সংবাদ