১৬ নভেম্বর ২০২৩, ১৯:২৬

শিক্ষককে ছাত্রের লাঞ্ছনা, বিচার চাইলেন ছেলের মা

অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন  © সংগৃহীত

নোয়াখালীর চাটখিলে আবদুর রহমান নামে এক মাদরাসা শিক্ষককে লাঞ্ছিত করেছে সাব্বির হোসেন নামে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্র (১৫)। এ ঘটনায় ছেলের অপরাধের উপযুক্ত বিচার চান ওই ছাত্রের মা সালমা বেগম। বুধবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরে পাঁচগাও ইউনিয়নের আফসারখিল গ্রামের দাওয়াতুল ঈমান মডেল বিজ্ঞান কারিগরি দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে। আজ বৃহস্পতিবার  ভুক্তভোগী শিক্ষক আবদুর রহমান বাদি হয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন পলাতক। সে পাঁচগাও ইউনিয়নের আফসারখিল গ্রামের মজুআলী ব্যাপারি বাড়ির প্রবাসী বাবলু মিয়ার ছেলে। 

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, বুধবার বেলা ১টার দিকে মাদরাসার ক্লাস নেওয়ার সময় অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন শিক্ষক আবদুর রহমানকে আরেক ছাত্রের মাধ্যমে ডেকে আনেন। পরে ওই ছাত্র তার মায়ের সামনে শিক্ষককে উপর্যুপরি লাথি মেরে ও রড দিয়ে আঘাত করেন। পরে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

শিক্ষক আবদুর রহমান দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘দীর্ঘ ১৪ বছর ওই মাদরাসায় শিক্ষকতা করি। সাব্বিরের উশৃংখল আচরণের জন্য অনেকবার তাকে বহিষ্কার করা হয়। আবারও বেপরোয়া আচরণের জন্য সতর্ক করায় সে তার মায়ের সামনে আমার উপর ন্যাক্কারজনক হামলা চালিয়েছে।’

হামলার বিষয়টি স্বীকার করে অভিযুক্তের মা সালমা বেগম বলেন, শিক্ষকের অভিযোগ সত্য। তবে কেন বা কি কারণে আমার ছেলে এমন জঘন্য আচরণ করলো কিছু বুঝে উঠতে পারছি না। আমি এ ছেলের উপযুক্ত বিচার চাই। খবরটি শুনে তার বাবা বিদেশ থেকে ফোন ব্লক করে পরিবারের কারো সঙ্গে কথা বলছেন না।

স্থানীয়রা জানান, অভিযুক্ত সাব্বির হোসেন কিশোর গ্যাংয়ের সক্রিয় সদস্য। তার নেতৃত্বে মাদরাসা এলাকায় কিশোর গ্যাং পরিচালিত হয়। কিশোর গ্যাং এর নেতৃত্ব দিয়ে সাব্বির মাদ্রাসা এলাকায় প্রায় সময় বিশৃংখলা সৃষ্টি করে আসছে। তার বিরুদ্ধে উশৃংখল আচরণের পাশাপাশি রাস্তায় মেয়ে শিক্ষার্থীদের উত্যক্ত করারও অভিযোগ রয়েছে। অসদাচরণসহ বিভিন্ন অভিযোগে কয়েকবার সে মাদরাসা থেকে বহিষ্কৃত হলেও তার পিতা-মাতা ক্ষমা চাওয়ার প্রেক্ষিতে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হয়েছিল। 

চাটখিল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ ইমরানুল হক ভূঁইয়া অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, ‘ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’

পাঁচগাও ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাহমুদ হোসেন তরুণ দ্যা ডেইলি ক্যাম্পাসকে বলেন, অভিযোগের কপি এখনো হাতে পাইনি। বিষয়টি খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।